ঢাকা কলেজ : ক্যান্টিনে খাওয়া নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

আগের সংবাদ

ভাঙা সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছব : সড়ক খনন নীতিমালা উপেক্ষিত > তিন মাসের কাজ বছরজুড়ে > সেবা সংস্থার কাজে সমন্বয় নেই

পরের সংবাদ

গজারিয়ায় কাজলা নদী দখল করে রাস্তা নির্মাণ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদীর শাখা কাজলা নদী এক সময় বেশ চওড়া ছিল। দিন দিন প্রভাবশালীদের দখলি প্রতিযোগিতায় খরস্রোতা নদীটি এখন সরু খাল হয়ে গেছে।
এরই মধ্যে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের আধা কিলোমিটার কাজলা নদীর জায়গা দখল করে কয়েকটি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের দিয়ে এসব জায়গা দখল করে নিচ্ছে কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক। এখনই এদেরকে ঠেকাতে না পারলে পুরো নদী চলে যাবে তাদের দখলে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনজীবিকা।
তবে রাস্তা নির্মাণে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের নাম বলতে চাননি স্থানীয়রা। তারা বলেন, সরকারি দলের বড় বড় নেতাদের সঙ্গে এই প্রভাবশালীরা চলাফেরা করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ব্রিজের নিচ দিয়ে নদী দখল করে প্রায় আধা কিলোমিটার জায়গায় ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ফেলে রাস্তা বানানো হচ্ছে।
ডোবা চর ও নতুন চর এলাকার বেশকিছু জেলে জানান, ছোটবেলা থেকে এ নদীতে মাছ শিকার করছেন তারা। এখন দখলের ফলে নদীটি ছোট হয়ে গেছে। তাই এখন আর আগের মতো নদীতে মাছ নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোসেন্দী গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, নদীর পাড়ে ব্যক্তি মালিকানায় থাকা জায়গাও দখল করে ভরাট করছে প্রভাবশালীরা। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে রাতের আঁধারে বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাই ভয়ে এলাকার মানুষ কোনো কথা বলে না।
নদী দখল হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী জানান, মাঝে মধ্যে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। কাজলা নদী দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ওই সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। জব্দ করা হয় মেশিনারি।
নদী, খাল ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির গজারিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুম খাঁন বলেন, ‘নদী দখল করে যে মাটি ভরাট করা হয়েছে, নদী রক্ষা করতে সেই মাটি অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়