এশিয়া কাপ : হংকংকে লজ্জায় ডুবিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আগের সংবাদ

বন্ধুত্ব সুসংহত করার প্রত্যয় : বাংলাদেশে চীনা বলয় ঠেকাতে চায় দিল্লি > পানিসহ সীমান্ত সুরক্ষায় সমাধান চায় ঢাকা

পরের সংবাদ

ভেড়ামারা : পদ্মার ভাঙনে হুমকিতে রায়টা বেড়িবাঁধ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইসমাইল হোসেন বাবু, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) থেকে : দিন দিন পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। ফলে ভেড়ামারা উপজেলার রায়টা বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে। ভাঙন থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার পরিবারের বাড়িঘর। অপরদিকে বার মাইল টিকটিকি পাড়ার সামনে বিশাল এলাকা পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ একর ফসলি জমি।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা বেড়িবাঁধের পাশেই রাইটা পাথর ঘাট। ভেড়ামারা থানার একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এখানে রয়েছে পিকনিক স্পট। প্রতিদিন পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বাঁধের কাছে এসে পানির ধাক্কা লাগছে। পানির স্রোতে ঘুরপাক ও পানির তীব্রতায় রায়টা বেড়িবাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে রায়টা নতুন পাড়া, ফয়জুল্লাপুর এই দুটি গ্রাম আগে পানিতে ডুবে যাবে। পানিবন্দি হয়ে পড়বে প্রায় ৩ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন জানান, প্রতি বছর পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রায়টা বেড়িবাঁধে পানির আঘাত হানে। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকার মানুষ। এবারো তাই হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকলে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক গ্রাম ডুবে যাবে।
অপরদিকে ভেড়ামারার বার মাইল এলাকার টিকটিকি পাড়ার সামনে বিশাল এলাকা পদ্মার ভাঙনে নদীরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হাফিজুর রহমান জানান, পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতায় ইতোমধ্যে আউশ ধান, কলা বাগান, নানা প্রকার শাকসবজির মাঠ নদীতে ভেঙে গেছে। ভাঙনে ১৫০ একর জমি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন বাড়িঘর ভাঙনের মুখে। নদী এখন ২০০ মিটার দূরে রয়েছে। রোধ করা না হলে সব নদীগর্ভে চলে যাবে। তাই ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
ভেড়ামারা বাহিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রওশন আরা সিদ্দীক বলেন, গত বছর নদী ভাঙনের সময় থেকেই আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছিলাম। তারা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েও কোনো পদক্ষেপ নেননি। এবারো আমরা তাদের জানিয়েছি, তারা আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু এখনো কোনো কাজ করেনি। এই নদী ভাঙনের ফলে সাধারণ জনগণ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাধায়ক ও প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল হামিদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়