এশিয়া কাপ : হংকংকে লজ্জায় ডুবিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আগের সংবাদ

বন্ধুত্ব সুসংহত করার প্রত্যয় : বাংলাদেশে চীনা বলয় ঠেকাতে চায় দিল্লি > পানিসহ সীমান্ত সুরক্ষায় সমাধান চায় ঢাকা

পরের সংবাদ

ভুল নীতির কারণেই তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দেয়া হয়নি : অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, জ্বালানি উপদেষ্টা, ক্যাব

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:১২ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেছেন, সরকারের ভুল নীতির কারণেই আজকে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের টাকা দিয়ে ২০১০ সাল থেকে অনুসন্ধান অব্যাহত রাখলে, ভোলার গ্যাসের পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারলে আজ এত বেশি সংকটে পড়তে হত না। ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন

যুদ্ধের আগেও দেশের ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের দেশের তেল-গ্যাস খুঁজে বের করার জন্য জরিপ, অনুসন্ধান এবং উত্তোলনের ওপর জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা একবার বলল- গ্যাসের ওপরে বাংলাদেশ ভাসছে। এরপর ২০১৬ সালে আবার বলল মাটির নিচের গ্যাস ফুরিয়ে আসছে, অল্প সময়ের মধ্যেই গ্যাস ফুরিয়ে যাবে। এখন সংকটে পড়ে সরকার আবার সবকিছুতে জোর দেয়ার কথা বলছে। এখনো ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ দেশীয় সম্পদের উৎস থেকে আসে। তাই প্রশ্ন আসে- তখন কেন গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করল না, উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হলো না। কেন এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হলো? সরকারের ভুল নীতি, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং দেশীয় খনিজ সম্পদের এসেসমেন্ট না থাকার কারণে সংকট আজ তীব্র থেকে তীব্র হয়েছে।
তিনি বলেন, যদি দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধান অব্যাহত রাখতাম, গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে যে টাকা দেয়া হয়েছিল, সেই টাকা দিয়ে ২০১০ সাল থেকে অনুসন্ধান অব্যাহত রাখতাম, ভোলার গ্যাস যদি আমরা পাইপলাইনের মাধ্যমে এনে পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারতাম, ছাতকের গ্যাস যদি পাওয়া যেত তাহলে এখন আমাদের এত বেশি সংকটে পড়তে হত না।
এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, সরকার দেশের স্থল ও সমুদ্রসীমায় গ্যাসের অনুসন্ধান ও উৎপাদন না বাড়িয়ে আমদানি নির্ভর জ্বালানি সংগ্রহের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে। এই সিদ্ধান্ত আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। পেট্রোবাংলার পেশাদার ও দক্ষ লোকবলের অভাব সবসময়ই ছিল। রহস্যজনক কারণে এখানে দক্ষ জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। মাত্র সাড়ে ৩ শতাংশ গ্যাসের জন্য আমাদের এখন এত বেশি কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হত না, যদি অভ্যন্তরীণভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা করে অগ্রসর হতাম। তিনি আরো বলেন, গ্যাসের সরবরাহ থাকলে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনেও ঘাটতি হত না। আবার বিদ্যুৎখাতের দুর্নীতি দূর করতে পারলেও বিদ্যুতে সমস্যা হত না। এই দুর্নীতি দূর করার জন্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়