এশিয়া কাপ : হংকংকে লজ্জায় ডুবিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আগের সংবাদ

বন্ধুত্ব সুসংহত করার প্রত্যয় : বাংলাদেশে চীনা বলয় ঠেকাতে চায় দিল্লি > পানিসহ সীমান্ত সুরক্ষায় সমাধান চায় ঢাকা

পরের সংবাদ

নিক্ষিপ্ত গরম তেলে ঝলসে গেছে স্ত্রীর শরীর, স্বামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম : পাষণ্ড স্বামী ও শাশুড়ির নিক্ষিপ্ত গরম তেলে ঝলসে গেছে গৃহবধূ লাবনী খাতুনের (২২) শরীর। গুরুতর আহত গৃহবধূকে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পৌর এলাকার জোনাইডাঙ্গা গ্রামে। পুলিশ পাষণ্ড স্বামী সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গরম তেল দিয়ে গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। উলিপুর থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের কিশোরপুর গ্রামের বাবলু মিয়ার মেয়ে লাবনী খাতুনের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে উলিপুর পৌরসভার জোনাইডাঙ্গা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে সুজন মিয়ার মুসলিম সরা অনুযায়ী বিয়ে হয়।
বিয়ের কিছু দিন পর লাবনীর কোল জুড়ে আসে একটি ছেলে সন্তান। যার বয়স এখন সাত বছর। লাবনীর পারিবারিক সূত্র জানায়, বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাবনীকে নানা অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। লাবনীর মা রাশেদা বেগম সাংবাদিকদের জানান, শারীরিক নির্যাতনের পরও লাবনী তার এক মাত্র সন্তানের কথা ভেবে মাটি কামড়ে শ্বশুর বাড়িতে ছিল। গত বুধবার সকালে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তুচ্ছ ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত স্বামী সুজন মিয়া ও শাশুড়ি মিলে গরম তেল নিক্ষেপ করে লাবলীর শরীর ঝলসে দেন।
যাতে সে চিকিৎসা নিতে কিংবা বাবার বাড়িতে খবর দিতে না পারে সেজন্য তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ অবস্থায় অসুস্থ লাবনী গত তিন দিনেও তার ওপর অমানবিক নির্যাতনের কথা বাবার বাড়িতে কিংবা প্রতিবেশীদের জানাতে পারেনি। গত শুক্রবার নির্যাতনের শিকার লাবনী কৌশলে মোবাইলে তার ওপর অত্যাচারের খবর খালাকে জানালে, খালা তাৎক্ষণিক ওই বাড়িতে এসে লাবনীর অবস্থা দেখে বিষয়টি উলিপুর থানাকে অবহিত করেন। পরে উলিপুর থানার এস আই তাজুউদ্দীন দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে নির্যাতিত লাবনীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান এবং অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান।
এ ঘটনায় লাবনীর মা রাশেদা বেগম শুক্রবার রাতে নিজে বাদী হয়ে লাবনীর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দাখিল করেন। গতকাল শনিবার গ্রেপ্তারকৃত স্বামী সুজন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়