বাজারের ব্যাগে মিলল নবজাতকের লাশ

আগের সংবাদ

দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব : অনুসন্ধান ও উত্তোলনে মহাপরিকল্পনা > ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করার উদ্যোগ পেট্রোবাংলার

পরের সংবাদ

স্মারকগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : ব্যাংকিং খাতের আয়না ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যেসব মানুষের চিন্তা ও কাজ সমাজ সচেতনতার উপজীব্য, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ তেমনই একজন ব্যক্তিত্ব। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রাজ্ঞ বিশ্লেষক, অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে আপসহীন সাহসী মানুষ এবং শিশুদের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশের অনন্য সাধক। মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা ভবনে ‘খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ স্মারকগ্রন্থ’ এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল, আসমা আব্বাসী, পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী, পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আলম খান চৌধুরী, খোন্দকার মো. খালেদ, খোন্দকার সাঈদ হামিদ, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মুসা কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার সভাপতি রওশন আরা ফিরোজ প্রমুখ।
আতিউর রহমান বলেন, দুর্গম চরে বসবাসরত মানুষের উন্নয়নে তিনি ছিলেন সোচ্চার। এ কাজে বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগ ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের সভাপতি হিসেবে এক দশকের বেশি সময় কাজ করেন তিনি। এটা আমি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর তাকে অনুরোধ করেছিলাম সংস্থাটির দায়িত্ব¡ নেয়ার জন্য। নিজের গাড়ির তেল পুড়িয়ে তিনি এ সংস্থার জন্য কাজ করেছেন। কোনোদিন একটা টাকাও তাকে দেয়া যায়নি।
তিনি বলেন, আর্থিক খাতে কাজ করলেও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি সর্বাত্মক লড়াই করে গেছেন। সমাজের অন্যায়, অনিয়ম, মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের পথ হারিয়ে ফেলা তিনি কোনোভাবেই সহ্য করতে পারতেন না। এই কারণেই তিনি তার অবস্থান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্লেষণ করে বক্তব্য দিতেন। তার অনেক বক্তব্যে খুঁজে পাওয়া যেত বাংলাদেশের শেকড়ের সন্ধান। তিনি বিশ্বাস করতেন, যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশের জন্ম, সেই জায়গা থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসা যাবে না।
বক্তারা বলেন, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ পেশাগত জীবনে ছিলেন বিশিষ্ট ব্যাংকার। আর্থিক খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। ব্যাংক খাত, পুঁজিবাজারসহ অর্থনীতির নানা বিষয়ে তার মতামত ও বিশ্লেষণ ছিল নির্মোহ, দ্ব্যর্থহীন। ব্যাংকিং খাতের সুষ্ঠু বিকাশে মেধা ও দক্ষতার যে স্বাক্ষর তিনি রেখে গেছেন তা এ দেশের মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। শুধু নিষ্ঠাবান ব্যাংকারই নন, সংগঠক হিসেবেও খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ছিলেন অনন্য। কচি-কাঁচার মেলা ছিল তার আত্মার অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। শিশু-কিশোরদের মন ও মননশীলতার চর্চায় এবং তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশসাধনে তিনি আমৃত্যু সচেষ্ট ছিলেন। আলোচনার ফাঁকে ‘তুমি

নির্মল কর মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’, ‘তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম’, মুছে যাওয়া দিনগুলো আমায় যে পিছু ডাকে’ একক গান গেয়ে শোনান ঋতু ও জুনাইদ। দলীয় সংগীত ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন কচি-কাঁচার মেলার সদস্যরা। অনুষ্ঠানে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের উপর একটি ডকুমেন্টারিও প্রদর্শন করা হয়।
স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা। এতে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মেধা-প্রজ্ঞা, সামাজিক-রাজনীতিক-অর্থনীতিক ভাবনা ও বহুমাত্রিক কর্মযজ্ঞ নিয়ে তার শুভানুধ্যায়ী, সুহৃদ-সুজনসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমৃদ্ধ রচনা এবং তারই স্নেহধন্য শিশু-কিশোরদের ভারাক্রান্ত হৃদয়ের স্মৃতিচারণ ছাড়াও তার সামগ্রিক জীবনচিত্রের বিভিন্ন অংশ সংকলিত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়