বাজারের ব্যাগে মিলল নবজাতকের লাশ

আগের সংবাদ

দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব : অনুসন্ধান ও উত্তোলনে মহাপরিকল্পনা > ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করার উদ্যোগ পেট্রোবাংলার

পরের সংবাদ

শিম-ফুলকপি চড়া : কাঁচামরিচের দাম কমেছে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নতুন সবজি হিসেবে বাজারে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে শিম ও ফুলকপি। যদিও শীতের আগাম এই দুই সবজি বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়াদামে। পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দামও উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল। ফলে সবজি কিনতে এসে অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। তবে দাম কমেছে কাঁচামরিচের। কয়েক দিন আগেও ২শ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের কেজি এখন ৪০ টাকা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আগের সপ্তাহের মতোই এ সপ্তাহেও বাজারে সবচেয়ে বেশি দামি সবজির ‘গৌরব’ ধরে রেখেছে শিম। কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। আর ছোট আকারের একেকটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। এ সপ্তাহে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর ও বরবটির। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে। আর বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। অন্যান্য সবজির দামও খুব একটা উঠানামা করেনি। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৭০, কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে ২৫ ও পটোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আর আলুর কেজি ৩০ টাকা। যাত্রাবাড়ীর সবজি বিক্রেতা মন্টু মিয়া বলেন, সবজির দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। তবে কিছুদিনের মধ্যে কমতে পারে দাম। কারণ এরই মধ্যে শীতের আগাম সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে বাজারে কাঁচামরিচের দাম যেভাবে বেড়েছে সেভাবেই আবার কমেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম নেমেছে অর্ধেকের নিচে। এখন বিভিন্ন বাজারে এক কেজি কাঁচামরিচ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচামরিচ ১৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
অথচ এক সপ্তাহ আগে এই কাঁচামরিচের পোয়া ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আর কেজি ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। তার আগে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকায় উঠেছিল।
মরিচের দাম কমার কারণ হিসেবে কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মিলন মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে মরিচ খেতের অনেক ক্ষতি হয়। এ কারণে মাঝে কাঁচামরিচের কেজি দুইশ টাকায় ওঠে। এখন মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে।
এদিকে ডিম ও মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাছের দামেও তেমন পরিবর্তন আসেনি। গত সপ্তাহের মতোই প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়।
বাজারে রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়। শিং মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। আর ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কৈ মাছের কেজি। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি। তবে মাছের মধ্যে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি ও ইলিশ। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৯০০ থেকে হাজার টাকা। আর ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়