বাজারের ব্যাগে মিলল নবজাতকের লাশ

আগের সংবাদ

দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব : অনুসন্ধান ও উত্তোলনে মহাপরিকল্পনা > ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করার উদ্যোগ পেট্রোবাংলার

পরের সংবাদ

ভিডিও কনফারেন্স আজ : প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা চা শ্রমিকদের

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন আজ শনিবার। এ লক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকাগোতে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখলা চা বাগানে প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জ আসনের এমপি উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন মৌলভীবাজার জেলার চা শ্রমিকরা। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জ আসনের এমপি উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হৃদয় থেকেই চা শ্রমিকদের ভালোবাসেন। তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের বিগত মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই পরিস্থিতির সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি গণভবনে বৈঠক করবেন এবং ভিডিও কনফারেন্সে চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। ইতোমধ্যে গণভবনে চা বাগান মালিকদের ডেকে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করে দিয়েছেন ৫০ টাকা এবং প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী সারাদেশের চা শ্রমিকদের সঙ্গে শনিবার বিকালে কথা বলবেন। ইতোমধ্যেই দেশের চারটি চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে যথাক্রমে মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রামে মতবিনিময় সভার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেন, বঙ্গবন্ধু চা শ্রমিকদের ভালোবাসতেন আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও তাদের ভালোবাসেন। তার প্রমাণ চা বাগানের শ্রমিকদের প্রতিবছর বিশেষ বরাদ্দে ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হচ্ছে। চা বাগানের শ্রমিকদের চলাচলের জন্য অনেক রাস্তা করে দেয়া হয়েছে। বলতে গেলে চা বাগানে শ্রমিক বসতিতে যাতায়াতের কাঁচা রাস্তা নেই বললেই চলে। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা, ওএমএস এর চালসহ সরকারি সব সুযোগ সুবিধা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে সব সময়ই চা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এলাকায় যখন আসেন কোনো না কোনো বাগানে প্রোগ্রাম থাকেই। চা শ্রমিকদের দুঃখ দুর্দশার কথা তার জানা রয়েছে। তাই চা শ্রমিকদের শিক্ষা, মজুরিসহ তাদের উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিকবার সংসদে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বর্তমানে চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য একটি অত্যাধুনিক বিদ্যালয় করে দেয়া হচ্ছে বর্মাছড়া চা বাগানে। এছাড়া ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গলের প্রত্যেকটি চা বাগানে সরকারি স্কুল করে দেয়া হয়েছে। অনান্য এলাকায়ও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে চা শ্রমিকদের মজুরি ছিল ২৮ টাকা। কয়েক ধাপে তা ১২০ টাকা করা হয়। এবছর তা ১৭০ টাকায় এনে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া আরো অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্যও প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী যা বাস্তবায়িত হলে তাদের মজুরি ৪০০ টাকার উপরে হবে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রকলায় সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক চিফ হুইপ অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অধ্যাপক রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সিনিয়র পুলিশ সার্কেল শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জ শহিদুল ইসলাম মুন্সি, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন, কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌছ হাসান, মাধবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসিদ আলীসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এদিকে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে তাদের মনের কথা বলার জন্য শনিবারের অপেক্ষা করছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়