বাজারের ব্যাগে মিলল নবজাতকের লাশ

আগের সংবাদ

দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব : অনুসন্ধান ও উত্তোলনে মহাপরিকল্পনা > ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করার উদ্যোগ পেট্রোবাংলার

পরের সংবাদ

বাঁচতে চায় তিন বছরের শিশু সামিউল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এস কে রঞ্জন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চিঙ্গুরিয়া গ্রামের হতদরিদ্র একটি পরিবারে জন্ম শিশু সামিউলের। তিন বছর আগে বাবা-মায়ের কোলজুড়ে ছোট্ট এই শিশুটি পৃথিবীর আলোয় আসে। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে সামিউল। কিন্তু কে জানত এত অল্প সময়ের মধ্যেই দুরারোগ্য ক্যান্সার বাসা বাঁধবে তার শরীরে। বাম চোখের ভেতরে ধরা পড়েছে টিউমার। সেই টিউমার এখন রূপ নিয়েছে মরণব্যাধি ক্যান্সারে।
অল্প সময়ের মধ্যেই বাম চোখটি তুলে না ফেললে সমস্ত শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে মৃত্যু হতে পারে তার, এমনই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। অথচ অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে তার। তাই সামিউলের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত পেতেছে তার পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশু সামিউলের বাবা মো. সায়েম মোল্লার গ্রামের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ধানখালী ইউনিয়নে। সেখানে বসতভিটা না থাকায় লালুয়া ইউনিয়নের চিঙ্গুরিয়া গ্রামে নানা মৃত্যু নূর হোসেন মাতব্বরের বাড়িতে বসবাস করে আসছে তার পরিবার।
বাবা সায়েম মোল্লা ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। বোন সামিয়া (৮) ও মায়ের সঙ্গে গ্রামে থাকেন শিশু সামিউল। এখানেই জন্ম হয় সামিউলের। এখন তার বয়স তিন বছর। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার চোখের চাহনির অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ করেন মা ফজিলাতুন নেছা বেগম। চার মাস আগে সন্দেহ আরো ঘনীভূত হলে প্রথমে স্থানীয় কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক দেখান তিনি। সেখানকার চিকিৎসক ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন। হতদরিদ্র মা তখন দিশাহারা হয়ে পড়েন।
অভাবের সংসারে ঢাকা গিয়ে চিকিৎসা করানো অসম্ভব হয়ে যায় তার কাছে। ধার-দেনা করে অনেক কষ্টে কিছু টাকা সংগ্রহ করে সন্তান নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে পাড়ি দেন মা ফজিলাতুন নেছা। সেখানে প্রথম কাশিপুর চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হলে তারা কোনো রোগ নির্ণয় করতে পারেনি। পরে ইসলামিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ধানমন্ডি ইবনে সিনায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালে শিশুটির বাম চোখের মধ্যে টিউমার ধরা পড়ে, যা এখন ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে। শিশুটিকে বাঁচাতে হলে অতি দ্রুত অপারেশন করে ওর চোখটি ফেলে দেয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
শিশুটির চোখের অপারেশন, চোখ প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসা ব্যয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা প্রয়োজন, যা বহন করা তার পরিবারের কাছে একেবারেই অসম্ভব। তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে শিশুটির পরিবার সাহায্য প্রার্থনা করেন। কোনো সহৃদয়বান এক বা একাধিক ব্যক্তি চিকিৎসায় এগিয়ে এলে শিশু সামিউল ফিরে পাবে নতুন ও স্বাভাবিক জীবন।
শিশু সামিউলের মা ফজিলাতুন নেছার মোবাইল নম্বর ০১৭০১-৯৩১২৪৪। এই নম্বরে যোগাযোগ করে সাহায্য পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়