বাজারের ব্যাগে মিলল নবজাতকের লাশ

আগের সংবাদ

দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব : অনুসন্ধান ও উত্তোলনে মহাপরিকল্পনা > ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করার উদ্যোগ পেট্রোবাংলার

পরের সংবাদ

তৃতীয় রাউন্ডে আজারেঙ্কা : দ্বৈতে ভেনাস-সেরেনা জুটির বিদায়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউএস ওপেনের নারী এককের দ্বিতীয় রাউন্ডে ইউক্রেনের মার্টা কস্টিউককে ৬-২, ৬-৩ সেটে হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করেছে বেলারুশের ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা। দিনের আরেক ম্যাচে নারী দ্বৈতের প্রথম রাউন্ডে চেক প্রজাতন্ত্রের জুটি লুসিয়ে হেরাদেস্কা ও লিন্দা নসকোভার কাছে ৭-৬ (৫), ৬-৪ গেমে হেরে বিদায় নেয় কিংবদন্তি হয়ে ওঠা ভেনাস উইলিয়ামস ও সেরেনা উইলিয়ামস জুটি। অন্যদিকে পুরুষ এককের দ্বিতীয় রাউন্ডে ইতালির ফাবিও ফনিনিকে ২-৬, ৬-৪, ৬-২, ৬-১ গেমে হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করেছে রাফায়েল নাদাল।
যুক্তরাষ্ট্রের কোর্ট ১৭-তে বেলারুশের ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ইউক্রেনের মার্টা কস্টিউক। প্রথম সেটে হারেন ২-৬ ব্যবধানে। দ্বিতীয় সেটে কস্টিউক শুধু ব্যবধান কমান, হারেন ৩-৬ সেটে। ম্যাচ শেষে আজারেঙ্কার সঙ্গে হাত মেলাননি ইউক্রেনিয়ান টেনিসকন্যা। রীতি অনুযায়ী খেলা শেষে দুজনের হাতে হাত মেলানোর কথা। কিন্তু র‌্যাকেটের সঙ্গে র‌্যাকেটের হালকা ছোঁয়া লাগালেও করমর্দন না করে মুখ ঘুরিয়ে চলে যান ইউক্রেনিয়ান কস্টিউক। সমস্যার মূলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে উইম্বলডনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল রুশ এবং বেলারুশের টেনিস খেলোয়াড়দের। সেবার যুক্তরাজ্য যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, সে পথে হাঁটেনি যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কে চলা ইউএস ওপেনে দেশের পতাকা ব্যবহার না করার শর্তে রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ম্যাচ শেষে কস্টিউক বলেন, ওর (আজারেঙ্কা) ওপর আমার ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ নেই। হাত মেলানোর সৌজন্য না দেখানোর কারণ সর্ম্পকে তিনি বলেন, কারণটা সেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধই। তার ক্ষোভ, আজারেঙ্কা কেন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও বেলারুশের সহযোগিতার বিরুদ্ধে কিছু বলেন না? তিনি আরও বলেন, ম্যাচের আগেও ওর সঙ্গে আমি কথা বলতে চেয়েছি। খেলার আগের দিন ওকে মেসেজ দিয়ে সতর্কও করে দিয়েছিলাম যে আমি কিন্তু হাত মেলাব না। কিন্তু সে কখনোই আমার সঙ্গে এসে কথা বলেনি, এ যুদ্ধ নিয়ে তার মতটা জানায়নি। কস্টিউকের আচরণে বিস্মিত হয়নি ২০০৫ সালের ইউএস ওপেনজয়ী আজারেঙ্কা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আসলে অবাক হইনি। আর এই হাত মেলানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছুও নয়। তবে আমি সব সময়ই প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে থাকি।
অন্যদিকে ইউএস ওপেনের নারী দ্বৈতের প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নেয় কিংবদন্তি হয়ে ওঠা ভেনাস উইলিয়ামস ও সেরেনা উইলিয়ামস জুটি। চেক প্রজাতন্ত্রের জুটি লুসিয়ে হেরাদেস্কা ও লিন্দা নসকোভার কাছে ৭-৬ (৫), ৬-৪ গেমে হেরে যান দুই বোন। দর্শকে ঠাসা গ্যালারিতে চার বছরের বেশি সময় পর একসঙ্গে আবার কোর্টে নামেন তারা। হয়ত এই ম্যাচেই শেষবারের মতো মাঠে নেমেছেন দুই বোন। ইউএস ওপেন দিয়ে টেনিস ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী সেরেনা। ১৪টি ডাবলস গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী জুটি শেষ পর্যন্ত কোনো রূপকথার জন্মদিনে পারেননি। ম্যাচ শেষে আবেগের খুব বেশি প্রকাশ দেখা যায়নি দুজনের শরীরী ভাষায়। দর্শকেরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান তাদের। তারা পরস্পরকে আলতো আলিঙ্গন করে দর্শকের দিকে হালকা হাত নেড়ে বিদায় নেন কোর্ট থেকে। ভেনাস বিদায় নিলেও সেরেনা অবশ্য এখনো প্রতিযোগিতায় টিকে আছেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে বিশ্বের দুই নম্বর তারকা আনেত কন্তাভেতকে হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে উঠেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে পুরুষ এককের দ্বিতীয় রাউন্ডে ম্যাচের শুরু থেকে কিছুই যেন ঠিকঠাক হচ্ছিল না নাদালের। চতুর্থ সেটে ৩-০ তে এগিয়ে থাকা অবস্থায় নিজের র‌্যাকেট মাটিতে আছড়ে ফেলেন তিনি, সেটাই বাউন্স খেয়ে আঘাত করে তার নাকে। ব্যথায় তিনি মুখ থুবড়ে পড়ে থাকেন বেশ কিছুক্ষণ। এরপর মেডিকেল টাইম আউট নিয়ে আবার কোর্টে ফেরেন ধাতস্থ হয়ে। সব মিলিয়ে অশুভ সব সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছিলেন নাদাল। এছাড়া ৭ বছর আগে এই স্টেডিয়ামেই ফনিনি চমকে দিয়েছিলেন নাদালকে হারিয়ে। এবারো শুরু থেকে দারুণ দাপটে খেলতে থাকেন ৩৫ বছর বয়সী ইতালিয়ান। নাদাল ধুঁকছিলেন ছন্দ পেতে। অঘটনের শঙ্কা কিংবা সম্ভাবনা তাতে উঁকি দিতে শুরু করেছিল। তবে ইনজুরি নিয়েই শেষ পর্যন্ত ইতালিয়ান ফগনিনিকে ২-৬, ৬-৪, ৬-২, ৬-১ গেমে হারিয়ে তৃতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেন রেকর্ড ২২ বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম সেট হারার পর জয়ে শেষ করলেন তিনি। প্রথম রাউন্ডে একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে আসা প্রতিপক্ষ রিঙ্কি হিজিকাতার বিপক্ষে। চারবারের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন নাদাল পরের পর্বে খেলবেন ফ্রান্সের রিচার্ড গাসকুয়েটকে, যার বিপক্ষে তার জয়ের রেকর্ড ১৭-০। ম্যাচ শেষে নাদাল বললেন, শুরুতে ছন্দ না পেলেও লড়াইয়ে হাল না ছাড়ার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, শুরুর দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বলা যায় আমি লড়াইয়েই ছিলাম না। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে শুরুগুলোর একটি এটি। আশা করি, খুব বেশি এরকম আর হবে না। তবে যখন এরকম হয়, ইতিবাচক থাকতে হয় এবং ধৈর্য রাখতে হয়। কারণ খেলাটা অনেক লম্বা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়