বাজারের ব্যাগে মিলল নবজাতকের লাশ

আগের সংবাদ

দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব : অনুসন্ধান ও উত্তোলনে মহাপরিকল্পনা > ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করার উদ্যোগ পেট্রোবাংলার

পরের সংবাদ

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের অভিযোগ : হিন্দু নির্যাতনের হাতিয়ার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে নির্যাতন ও দমনের হাতিয়ার হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা। তারা বলেন, নড়াইলের লোহাগড়ায় ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মিথ্যা ধর্ম অবমাননার অজুহাতে নিরপরাধ অকাশ সাহার বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো জামিন দেয়া হয়নি। হিন্দুদের ক্ষেত্রে ৫৭ ধারা খুব শক্তিশালী। অথচ যারা নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রকাশ্যে হিন্দু ধর্মকে নিয়ে কটাক্ষ করে কথা বলছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ দেখছি না। গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব অভিযোগ করেন সংগঠনের নেতারা। বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের একাংশের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এই সংগঠের মুখপাত্র ও নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে।
লিখিত বক্তব্যে দুর্গাপূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া দুর্গাপূজায় প্রতিটি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ পূজার ১০ দিন আগে থেকে পূজাকালীন নিরাপত্তা জোরদার করা, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা যদি সবার জন্য সমান প্রয়োগ না হয়, তাহলে অবিলম্বে এ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবি করা হয়। ৩ দিন ছুটিসহ এসব বিষয়ে সরকার সুস্পষ্ট বক্তব্য না দিলে ১৬ সেপ্টেম্বর দাবি পূরণে ঢাকাসহ দেশব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে, জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। অন্যদিকে, শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতিকালে মানিকগঞ্জ ও সাতক্ষীরায় নির্মিত দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, জোর করে ধর্মান্তরিত ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের আরেকাংশ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মিঠু রঞ্জন দেব।
মানববন্ধনে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় কুমার রায় বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, গ্রামগঞ্জে ধর্মীয় বক্তারা নানাভাবে হিন্দুধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করছেন। তখন কী আমাদের ধর্ম অবমাননা হয় না? তখন প্রশাসন কোথায় থাকে, তাদের কেন আইনের আওতায় আনা হয় না? সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব শুধু কি হিন্দুদের? ৫৭ ধারা শুধু কি আমাদের জন্য? আইসিটি আইন পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আইসিটি আইনের বেশির ভাগ ব্যবহার হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়কে নির্মূল করার জন্য। তাই এই আইন বাতিল করতে হবে। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে মৃত্যুঞ্জয় কুমার রায় বলেন, দুর্গাপূজার আর ১ মাসও বাকি নেই। ইতোমধ্যে সারা দেশে নির্মীয়মাণ প্রতিমা ভাঙচুর করা হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায় বাড়ি, নারী, মন্দির ও জীবন ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। তাহলে আমরা যাব কোথায়?
জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম কুমার দাস বলেন, এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ সামাজিক, রাজনৈতিকভাবে নিষ্পেষিত। এখন ডিজিটালভাবেও নির্যাতিত ও নিপীড়িত। ৫৭ নামে যে ডিজিটাল আইন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এর বলি হচ্ছে হিন্দুরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়