বাজারের ব্যাগে মিলল নবজাতকের লাশ

আগের সংবাদ

দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব : অনুসন্ধান ও উত্তোলনে মহাপরিকল্পনা > ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করার উদ্যোগ পেট্রোবাংলার

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামের বাজারদর : ভোগ্যপণ্যে আগুন, শুঁটকিও নাগালের বাইরে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা চলছে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। বেড়েছে সব নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে এখন চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে সব ভোগ্যপণ্যের দামই চড়া। এর পাশাপাশি এখন ক্রেতাদের পকেট কাটছে সাবান-শ্যাম্পুসহ সব ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী। এক মাসের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
এদিকে দাম বেড়ে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে শুঁটকি মাছও। মাসের ব্যবধানে সব ধরনের শুঁটকি মাছের কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাগরে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়া, শুঁটকি তৈরির অন্যতম উপাদান লবণের দাম বৃদ্ধি ও হিমায়িত মাছ বিদেশে রপ্তানি করার কারণে শুঁটকির উৎপাদন কমে গেছে। পাশাপাশি আগের তুলনায় পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় শুঁটকির দামও এখন বাড়তির দিকে।
নগরের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন শুঁটকির দোকানে ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ৩০০ টাকা বেড়ে রাঙাবালি শুঁটকি ৩ হাজার ২০০ টাকায় ও লাক্ষা ৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে লইট্টা শুঁটকি ৭৫০, ফেওয়া ৫৫০, হিছুটিমলা ৫৫০ ও ছুরি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে চিংড়ি শুঁটকি ৫৫০ টাকায়, ২০ টাকা বেড়ে বাঁশপাতা সিদল শুঁটকি ৪৩০ ও কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে চেপা শুঁটকি (বড়) ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাক্তাই এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, লবণের দাম আগে ৬০০ টাকা ছিল, এখন ৯০০ টাকা। এদিকে সাগরে মাছ কমে গেছে, হিমায়িত মাছের রপ্তানি বেড়েছে। তাই শুঁটকির উৎপাদন অনেক কমে গেছে। শুঁটকি আমদানি করতে গিয়েও বাড়তি খরচ দিতে হচ্ছে। আমাদের দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ, শ্রমিকের মজুরি তো আছেই। সবমিলিয়ে দামটা বেড়েছে।
এদিকে বাজারে প্রতি কেজি গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০, হাইব্রিড শসা ৮০, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০, কচুমুখি ৫০, বরবটি ৩০ থেকে ৫০, পটোল ৪০, লাউ আকারভেদে ৪০ থেকে ৬০, চালকুমড়া ৪০, ঢেঁড়স ২০ থেকে ৪০ এবং কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই আকারভেদে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি রূপচাঁদা ৬৫০ টাকা, লাল কোরাল ৪৫০, বড় চিংড়ি ৯০০, কাতল ৩০০, তেলাপিয়া ২০০, পাঙ্গাশ ১৮০, লইট্যা ১৮০, মলা ৩৬০, শিং ৪৫০, বড় ইলিশ ১ হাজার ২০০, মাঝারি ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ ও ছোট ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, সোনালি ২৮০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। পেঁয়াজ ৪০ টাকা, রসুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সুগন্ধি সাবানের (১৫০ গ্রাম) সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) ঠিক এক বছর আগে ছিল ৫৮ টাকা। একই সাবানের এখনকার দর ৭৫ টাকা। এক বছরে সাবানটির দাম বেড়েছে ২৯ শতাংশ। শুধু সুগন্ধি সাবান নয়; দাম বেড়েছে কাপড় কাচার সাবান, গুঁড়া সাবান, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, টিস্যুসহ নিত্যব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যের। এ মূল্যবৃদ্ধি সংসারের ব্যয় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। গুঁড়া সাবান এক কেজির প্যাকেট ১৪০ টাকা, ১০০ গ্রাম টিউবের টুথপেস্ট ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা, ১৮০ মিলিলিটারের শ্যাম্পু ২৭০ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৬ মাসে কয়েক দফায় দাম বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণ বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম, জাহাজভাড়া, মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ও দেশে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়