বাজারের ব্যাগে মিলল নবজাতকের লাশ

আগের সংবাদ

দেশীয় জ্বালানি উত্তোলনে গুরুত্ব : অনুসন্ধান ও উত্তোলনে মহাপরিকল্পনা > ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করার উদ্যোগ পেট্রোবাংলার

পরের সংবাদ

কেশবপুর ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ : বাউফল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে : বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গত বুধবার লিখিত অভিযোগ করেছেন একই ইউপির সদস্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর ইউনিয়নের সাধারন মানুষের জন্মনিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজ করতে সরকার নির্ধারিত ফি ৫০ টাকার পরিবর্তে ৮-৯ গুণ বেশি টাকা আদায় করছেন ইউপি সচিব যাদব কুমার দত্ত। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য কেশবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে ৭-৮ এজেন্ট বানিয়েছেন ওই সচিব। ওই এজেন্টরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধনের আবেদন সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত ৫০ টাকার পরিবর্তে প্রতিজনের কাছ থেকে নিচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। ইউনিয়নের বিভিন্ন সদস্যরা বেশি টাকা আদায়ের প্রতিবাদ করলেও সচিব কোনো ভ্রæক্ষেপ করছেন না।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, সচিব যাদব কুমার দত্ত সপ্তাহে ২-৩ দিন ইউনিয়ন পরিষদে বসেন। বাকি দিনগুলো পটুয়াখালীতে অবস্থান করেন। এর ফলে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ইউপি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কারো জরুরি প্রয়োজন হলে পটুয়াখালী গিয়ে কাজ করাতে হয়।
ইউএনওর কাছে অভিযোগকারী কেশবপুর ইউপি সদস্য মো. আসাদুল হক জুয়েল বলেন, জন্মনিবন্ধন করাতে সরকারি ফি ৫০ টাকা। সচিব আদায় করছেন ১৫০-৪০০ টাকা। কেউ টাকা দিতে না পারলে তার কাজ ফেলে রাখা হয়। এছাড়া নিয়মিত অফিসে না আসায় ইউনিয়নবাসী নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কেশবপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মোসা. কাকলী রুমি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম নেই বললেই চলে। আমার দুটি বাচ্চার জন্মনিবন্ধন করতেই সচিবকে ৩০০ টাকা দিতে হয়েছে। এরপরে কম্পিউটার ও অনলাইন খরচ রয়েছে। ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার সহিদ সিকদার বলেন, জন্মনিবন্ধনে সচিব সর্বনি¤œ ১৫০ টাকা নিচ্ছেন এটা সত্য।
অভিযোগের সঙ্গে একমত পোষণ করে ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাইফুল ইসলাম বলেন, বাউফলের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হচ্ছে কেশবপুর। সেখানে সচিব সপ্তাহে মাত্র দুদিন অফিস করেন। তিনি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতি জন্মনিবন্ধনে ১৫০-৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। আমরা প্রতিবাদ করেও সুরাহা পাচ্ছি না। জনৈক মহিলা মেম্বার বলেন, এলজিএসপিসহ অন্যান্য বিভিন্ন কাজের বিল থেকেও সচিব টাকা কেটে রাখেন। প্রতিবাদ করলে টাকা আটকে রাখেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সচিব যাদব কুমার দত্তের মোবাইল নম্বরে অনেকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-আমিন বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়