ভূমির কুতুবকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আপিলে বাতিল

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সহিংসতা বাড়ছেই : দুই সপ্তাহে অন্তত ২০টি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, দলগুলোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

সাবিনাদের চোখ সাফ শিরোপায়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নেপালের কাঠমান্ডুতে আগামী ৬-১৯ সেপ্টেম্বর হতে যাচ্ছে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এই প্রতিযোগিতায় ভালো খেলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নিজদের প্রস্তুত করেছেন বাংলাদেশের সাবিনা খাতুনরা। আগামীকাল নেপালের উদ্দেশ্য ঢাকা ত্যাগ করবে গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা। তবে তার আগে গতকাল বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজদের সাফে খেলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা। তিনি বলেন, আমাদের নারী ফুটবলারা অনুর্ধ্ব-১৬, ১৮ দলের হলেও তারা অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ফলে তাদের ম্যাচ টেম্পারমেন্ট কোনো অংশে কম বলা যাবে না। আমাদের গ্রুপে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত ও মালদ্বীপ। তবে বাংলাদেশ এই গ্রুপের রানার্স আপ হলে সেমিফাইনালে খেলতে হতে পারে। কিন্তু আগে আমরা মালদ্বীপ-পাকিস্তানের সঙ্গে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই।
এবার সাফে ৭টি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। কিন্তু কঠিন গ্রুপে খেলবেন সাবিনা-তহুরা খাতুনরা। ‘এ’ গ্রুপে খেলবে ভারত,বাংলাদেশ,পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। আর ‘বি’ গ্রুপে আছে নেপাল,শ্রীলঙ্কা ও ভুটান। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মালদ্বীপের বিপক্ষে নিজদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
তারপর ১০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর ১৩ সেপ্টেম্বর নিজদের তৃতীয় ম্যাচে ভারতের মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ। সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে নেপালের কাঠমুণ্ডু দশরথ স্টেডিয়ামে।
এছাড়া বাফুফে নারী দলের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সাফের আগে সাবিনাদের প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করেছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিশ্রæতি দিয়েও শেষ পর্যন্ত আসেনি। তাই মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা মনে করেন মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আমরা দুটি ম্যাচ খেলেছি। দুটি ম্যাচেই আমরা ভালো ফলাফল করেছি। সেই দুই ম্যাচ আমাদের জন্য এই টুর্নামেন্টে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
এদিকে লাল-সবুজের নারী ফুটবলাররা বয়সভিত্তিক পর্যায়ে এশিয়ার মঞ্চে কয়েকবার শিরোপা জিতলেও জাতীয় দল শুধু ফাইনালেই সীমাবদ্ধ আছে। দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশ একবারই ফাইনাল খেলেছে। যেখানে কোন সুখ স্মৃতি নেই সাবিনাদের জন্য।
৩ বছর আগে এই নেপালেই বিরাটনগরে বাংলাদেশের ফুটবলারা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে পারফর্ম করেছেন। তবে ৩ বছর পর সাবিনা-তহুরাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে নারী দলের কোচ বলেন, ৩ বছরে আমাদের খেলোয়াড়রা আরো বেশি অভিজ্ঞ এবং পরিপক্ক হয়েছে। সব দিক থেকেই তারা উন্নতি করেছে। কিছুটা হলেও ভারত এবং নেপালের থেকে ব্যবধান কমেছে আশা করি। মেয়রা সাফে ভালো খেলবে এমনটাই আমার আশা।
এছাড়া বাফুফের ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি গত ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ নারী দলের সঙ্গে আছেন। কিন্তু নেপালের কাঠমান্ডুতে ৬-১৯ সেপ্টেম্বর নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল টুর্নামেন্ট তিনি থাকতে পাবেননা।
কারণ পল স্মলি আজ সাফ অনুর্ধ্ব -১৭ নারী ফুটবল দল নিয়ে শ্রীলঙ্কা যাবেন। পল স্মলির অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, স্যার না গেলেও আমাদের সঙ্গেই আছেন। তাকে ছাড়া আমি আগে দল পরিচালনা করেছি।
আমাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, সমস্যা হবে না। এবার সাফে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত ও মালদ্বীপ। ভারত এই গ্রুপের টপ ফেভারিট। এসব নিয়ে আমরা ভাবতে চাই না। আগে আমরা মালদ্বীপ ও পাকিস্তানের সঙ্গে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে চাই।
এছাড়া বয়সভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মেয়েরা উড়লেও সিনিয়র পর্যায়ে গিয়ে এখনো দাপট দেখাতে পারছেন না। কারণ বাংলাদেশে নারী ফুটবল মানেই তারুণ্যের জয়গান। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে যারা খেলেন তাদের সিংহভাগই বয়সভিত্তিক দলের।
কিন্তু জাতীয় দলের লড়াইয়ে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেন না বাংলাদেশের তরুণীরা। তার মধ্যে নানা জটিলতায় খেলা হয় না বড় দল গুলোর বিপক্ষে কোনো প্রীতি ম্যাচ। তবুও নেপালের কাঠমান্ডুতে নারী সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টে সাবিনারা ভালো খেলবেন এমটাই আশা দেশের ফুটবল ভক্তদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়