ভূমির কুতুবকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আপিলে বাতিল

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সহিংসতা বাড়ছেই : দুই সপ্তাহে অন্তত ২০টি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, দলগুলোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

সংসদে বিল পাশ : সরকার যেকোনো শর্তে ও হারে ঋণ নিতে পারবে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে অর্থায়ন বা অন্য কোনো উদ্দেশে সরকার দেশি-বিদেশি যেকোনো সংস্থা থেকে যেকোনো সুদহারে যেকোনো পরিমাণ ঋণ নেবার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে সরকারি ঋণ বিল ২০২২। গতকাল বৃহষ্পতিবার জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপণ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন।
বিলটি পাশের তীব্র বিরোধীতা করেন বিএনপির এমপি রুমিন ফারহানা, হারুন উর রশীদ, জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, রওশন আরা মান্নান প্রমুখ।
তারা বলেন, আজকে একটা ভয়ঙ্কর আইনটি করা হচ্ছে। এর চার ধারায় বলা আছে, সরকার যেকোনো উদ্দেশে দেশি বা যে কোনো সোর্স থেকে যেকোনো সুদে যেকোনো আকারের ঋণ নিতে পারবে। এখানে রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টিও দেয়া হচ্ছে। এটা যদি আমরা শোধ করতে না পারি তাহলে প্রয়োজনে তারা আমাদের টেরিটরি নিতে পারবে। এ আইনটি যে কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ তা কি জনগণ জানে? আজকে একটা আইন করা হলো কোনো নিয়ম বা আনকণ্ডিশনাল ঋণ নিতে পারবে। এর ফলে রাষ্ট্রের দায় ও দুর্নীতি দুটিই বাড়বে।
হারুণ উর রশীদ বলেন, দিনে দিনে আমাদের ঋণের প্রভাব বাড়ছে। ২০০৬ সালে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর আজ প্রায় ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এটা ভয়াবহ ব্যাপার। এ ঋণের অর্থ যৌক্তিকতা কতটুকু, এতে দুর্নীতি হবে কিনা? বিষয়টি স্পষ্ট করা দরকার। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য স্বনির্ভর অর্থনীতির দিকে যেতে হবে।
সরকারি ঋণ বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় সঞ্চয়পত্র কেনার সময় মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। কোনো ব্যক্তি নিজের বা কারো পক্ষে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যু করা সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের জন্য মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল বা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা হবে।
যদিও বিরোধীদের কয়েকটি ধারা গ্রহণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের জিডিপির ঋণের পরিমাণ ৩২.৪ শতাংশ। যুগোপযোগী একটি ঋণ আইনের অধীনে বাংলাদেশে সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের জন্য অধিকতর আধুনিক প্রক্রিয়ায় ঋণ সংগ্রহ, টেকসই ঋণনীতি ও ঋণ পরিকল্পনা প্রণয়ন, ঋণ কৌশলপত্র তৈরি, ঋণের ঝুঁকি নিরূপণ, ঋণ বাজেট তৈরিসহ সরকারের প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন দায় হিসাবায়নের পথ অধিকতর স¤প্রসারিত হবে। সরকারি ঋণ আইনের মাধ্যমে কত টাকা হলো এবং তার কী অবস্থা বা মুনাফা বা সুদ দেয়া হলো তা জনগণকে জানানো হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান আইনে কোনো জরিমানা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। ১৯৪৪ সালের এ সংক্রান্ত আইনটি বাতিল করে নতুন করে প্রণয়নের জন্য তা বিলটি পাশ করা হয়। সরকারের ঋণ নেয়ার প্রক্রিয়াকে আরো আধুনিক করার লক্ষ্যে আইনটি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়