ভূমির কুতুবকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আপিলে বাতিল

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সহিংসতা বাড়ছেই : দুই সপ্তাহে অন্তত ২০টি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, দলগুলোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

লুইস গø্যুকের কবিতা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

লুইস গø্যুক ১৯৮৩ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেন সারাহ্ লরেন্স কলেজ ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমেরিকান গুণবিচারী ও মনস্বী কবিদের একজন তিনি।

প্রায়োগিক নৈপুণ্য, সংবেদনা এবং নিঃসঙ্গতা, পারিবারিক পিচ্ছিল সম্পর্ক, বিচ্ছেদ এবং মৃত্যুর অন্তর্দৃষ্টি গø্যুকের কবিতার প্রতিপাদ্য। তার কবিতা সম্পর্কে খ্যাত-কবি রবার্ট হাস বলেন, ‘সবচেয়ে খাঁটি এবং চূড়ান্ত গুণান্বিত লিরিক কবিদের একজন এখন লিখছেন।’

লুইস গø্যুক অর্জন করেছেন ২০২০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার।

তার কবিতা ‘অভ্রান্ত কব্যিক কণ্ঠ’, যা সাদামাটা সৌন্দর্য সৃষ্টি করে ব্যক্তিক অস্তিত্বের সর্বজনীনতায়। গø্যুকের কাব্য ‘ফেইথফুল অ্যান্ড ভেরিয়াস নাইট’ (২০১৪) লাভ করে ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড। পরে পায় লস এঞ্জেলস টাইমস্ পুরস্কার। লুইস গø্যুকের অন্য কবিতার বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘দ্য হাউস অব মার্সল্যান্ড’, ‘দ্য গার্ডেন’, ‘ডিসেন্ডিং ফিগার’ ইত্যাদি। ‘দ্য ওয়াইল্ড আইরিস’ কাব্যের জন্য তিনি পেয়েছেন পুলিৎজার পুরস্কার। নিচে রইল তাঁর তিনটি অনূদিত কবিতা।

নির্জনতা

আজ খুব অন্ধকার। বৃষ্টির কারণে।
পাহাড় দৃশ্যমান নয়। কেবল বৃষ্টির
শব্দ। জীবন নিয়ে গেলো অন্তরালে।
এবং বৃষ্টির পাশাপাশি নেমে আসে ঠাণ্ডা।
আজ রাতে চাঁদ নেই। তারা নেই।

বাতাস রয়েছে রাতে
সমস্ত সকালে গমের প্রতিপক্ষ এ কশাঘাত
থেমে গেলো অপরাহ্নে। কিন্তু বয়ে যায় ঝড়
ডুবিয়ে দিলো শুষ্ক প্রান্তর, অতঃপর বন্যা-

নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে পৃথিবী।
কিছুই দেখার নেই, এই বৃষ্টি
অন্ধকার জানালাগুলোর বিপরীতে অস্পষ্ট কেবল।
এ হলো বিশ্রামের স্থান, যেখানে কোনো কিছুই সচল নয়-

যেখানে আমরা ছিলাম, সেখান থেকে ফিরে আসি,
অন্ধকারে পশুদের বসবাস
ভাষা বা দৃষ্টিবিহীন-

আমি যে জীবিত তার কোনো প্রমাণ নেই।
এখানে কেবল বৃষ্টি। বৃষ্টি অফুরান।

প্রথম তুষার

পৃথিবী ঘুমোতে চায় এক শিশুর মতো
অথবা এমন গল্প বয়ে যায়।

কিন্তু আমি ক্লান্ত নই, তাহলে
এবং মা বলে, তুমি হয়তো ক্লান্ত নও, আমি ক্লান্ত-

তুমি তা দেখতে পারো তার মুখাবয়বে, প্রত্যেকে পারে।
অতঃপর তুষারপাত হোক, এসে যাক ঘুম
যেহেতু মায়ের পীড়ায় মৃত্যুর দিকে তার জীবন
এবং চায় নীরবতা।

প্রাচুর্য

এক শীতল হাওয়া বয়ে যায় গ্রীষ্মের বিকেলে, উত্তেজক গম
আনত গম, রাত্রির পিচ গাছের
পত্ররাজির মর্মর।

অন্ধকারে একটি ছেলে পেরিয়ে যায় খেত;
প্রথমবারের মতো এক মেয়েকে স্পর্শ করে সে
অতঃপর সে হেঁটে যায় একজন মানুষ, মানুষের খিদেয়;

খুব ধীরে পাক ধরে ফলে-
একটি মাত্র গাছে ঝুড়ির পর ঝুড়ি
যদিও কিছু পচে যায় ফি-বছর
এবং মাত্র ক’ সপ্তাহেই আবার প্রচুর
আসে এবং পরে শূন্য।

গমের সারির মধ্যে
তুমি দেখবে ইঁদুরের উচ্ছ¡াস আর ছোটাছুটি
জমির এপাশ হতে ওপাশে, যদিও তাদের উপর
গমের আগা মন্থন করে যে গ্রীষ্মের হাওয়া বয়ে যায়।

এখন পূর্ণিমা। এক অদ্ভুত শব্দ ভেসে আসে
খেত থেকে সম্ভবত বাতাস।

কিন্তু ইঁদুরের জন্য এ রাত গ্রীষ্মের যে কোনো রাতের মতোই।
ফল আর শস্য; প্রাচুর্যের এক সময়
কেউ ক্ষুধার্ত নয়।
কারো মৃত্যু নেই;

কোনো শব্দ নেই কেবল গমের গর্জন ছাড়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়