কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আক্কাস মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গত বুধবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আক্কাস সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার বাসিন্দা ও হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের ত্রাস আক্কাস বাহিনীর প্রধান। নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি থানায় খুন ও ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিও তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র?্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র?্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আরিফ বলেন, ২০১১ সালে নেত্রকোনার মনোরঞ্জন সরকারের বাড়িতে ডাকাতি করে আক্কাস ও তার দল। এ সময় বাধা দেয়ায় মনোরঞ্জনের ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় নেত্রকোনা খালিয়াজুড়ি থানায় আক্কাসকে প্রধান আসামি করে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর একটি মামলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে সেই মামলায় আক্কাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। আক্কাসের বাহিনী হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ এলাকায় অর্ধ-শতাধিক বাড়িতে ডাকাতি করেছে। এছাড়া ২০১৬ সালে আক্কাস সুনামগঞ্জের শাল্লায় ভাড়ায় মারামারি করতে গিয়ে দুজনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় শাল্লা থানায় তার বিরুদ্ধে আরো ৩টি মামলা হয়। এর ২ বছর আগে সুনামগঞ্জের দিরাই এলাকায় ভাড়ায় বাহিনী নিয়ে মারামারি করতে গিয়ে ১০ জনকে মারাত্মক আহত করে আক্কাস। এ ঘটনায় দিরাই থানায় আরো একটি মামলা হয় আক্কাসের বিরুদ্ধে। হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ নেত্রকোনা এলাকায় আক্কাস বাহিনী ছিল একটি আতঙ্কের নাম।
র্যাব-৩ এর সিও বলেন, এখন পর্যন্ত ডাকাতি ও খুনসহ তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া সুনামগঞ্জের শাল্লা থানায় একটি সাজা ওয়ারেন্টসহ মোট ৬টি ওয়ারেন্ট তামিলের অপেক্ষায় রয়েছে। শুরুতে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিলেও ২০১৬ সালে পালিয়ে রাজধানীতে এসে ছদ্মনামে বসবাস শুরু করেন। ঢাকায় কখনো রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন। একপর্যায়ে ঢাকায় একটি ডাকাত দল তৈরির চেষ্টা করেন। পরে দলের অধিকাংশ সদস্য গ্রেপ্তার হওয়ায় তিনি ডাকাতি ছেড়ে মাছ বিক্রি শুরু করেন। ২০১৯ সালে নেত্রকোনার খুনসহ ডাকাতির মামলায় তার যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার পর তিনি কেরানীগঞ্জ এলাকায় ইটভাটায় স্ত্রীর কাছে আশ্রয় নেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।