ভূমির কুতুবকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আপিলে বাতিল

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সহিংসতা বাড়ছেই : দুই সপ্তাহে অন্তত ২০টি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, দলগুলোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

বাইন্যান্স অ্যাপের মাধ্যমে জুয়ার টাকা পাচার হয়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাইন্যান্স অ্যাপের মাধ্যমে জুয়ার টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত বুধবার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিক (৩০), আব্দুল্লাহ আল আউয়াল (২৬) ও মো. তোরাফ হোসেন (৩৭)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
এ গ্রেপ্তারের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তখন সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা অনলাইন জুয়া সাইট বেট উইনার.কম পরিচালনার সঙ্গে জড়িত। দেশীয় অনলাইন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে জমা হওয়া জুয়ার টাকা তুলে বাইন্যান্স নামক মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাপের মাধ্যমে মার্কিন ডলারে রূপান্তর করে তারা। পরবর্তীতে ওই অ্যাপের মাধ্যমেই ডলার বিভিন্ন দেশে পাচার করে দেয়। গ্রেপ্তারকৃতরা এ অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স এন্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘সবসময়ই সাইবার জগতে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডি। এরই ধারাবাহিকতায় অনলাইনে বেটিং করা বা জুয়া খেলার বেটিং সাইটটি নজরে আসে আমাদের। পরে তদন্ত কার্যক্রমে সত্যতা মেলায় ওই তিনজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন, চারটি এজেন্ট সিম, দুটি মার্চেন্ট সিম, একটি নগদ সিম ও দুটি পার্সোনালসহ মোট ১২টি সিম ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়।’
তিনি জানান, মূলত একজন জুয়াড়ি মোবাইল নম্বর অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে বেটিং সাইটে বা অ্যাপসে অ্যাকাউন্ট খুলেন। সে সময় অ্যাকাউন্টের বিপরীতে একটি ই-ওয়ালেট তৈরি হয়, যাকে জুয়াড়িরা ইউএসডিটি বলে। শুরুতে এর ব্যালেন্স শূন্য থাকে। তবে এ ওয়ালেটে ব্যালেন্স যোগ করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। যার মধ্যে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও ট্রাস্ট এজিয়াটা অন্যতম। এগুলোর যে কোনো একটি ক্লিক করলে সেখানে একটি এজেন্ট নম্বর দেখা যায়। যে নম্বরে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে ই-ওয়ালেট বা ইউএসডিটি ব্যালেন্সে যুক্ত হয়ে যায়। এই টাকা বা ব্যালেন্স দিয়ে ইউজার পরবর্তীতে জুয়া খেলায় অংশ নিতে পারে। এসএসপি রেজাউল মাসুদ জানান, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের এজেন্টরা জমা করা টাকা তুলে বাইন্যান্স নামক মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রায় রূপান্তর করেন। পরবর্তী সময়ে বাইন্যান্সের মাধ্যমে এই টাকা বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়