ভূমির কুতুবকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আপিলে বাতিল

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সহিংসতা বাড়ছেই : দুই সপ্তাহে অন্তত ২০টি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, দলগুলোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

ছন্দে ফিরল পিএসজি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফরাসি ফুটবল লিগ ওয়ানে তুলুজকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। দলের হয়ে একটি করে গোল করেন নেইমার, এমবাপ্পে ও বের্নাত। সতীর্থদের দুটি গোলে অবদান রাখেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা লিওনেল মেসি। অন্যদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুল। আর্লিং হলান্ডের টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকে নটিংহাম ফরেস্টকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানসিটি। শেষ মুহূর্তের গোলে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারায় লিভারপুল।
তুলুজের মাঠ স্টেডিয়ামে মিউনিসিপালে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজি। ম্যাচের ৬৩ শতাংশ বল দখলে রেখে মোট ২০টি শট নেয় দলটি। যার মধ্যে ১৩টিই ছিল লক্ষ্যে। তুলুজের গোলরক্ষক দুর্দান্ত সব সেভে বাঁচিয়ে দেন কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি গোল। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। তুলুজের বক্সের ভেতর জটলার মধ্যে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন মেসি এবং এমবাপ্পে, তবে তাদের শটগুলো জটলা পেরিয়ে জালে প্রবেশ করতে পারেনি। গোল করার সুযোগ পায় তুলুজও। সপ্তম মিনিটে সতীর্থের ক্রস বক্সে বুক দিয়ে নামিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল রাতাও শট নিলে গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা পা দিয়ে কোনোরকমে ফিরিয়ে দেন। নবম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পায় পিএসজি। বক্সের ভেতর বল পেয়েছিলেন মেসি, তবে সেখান থেকে যে শটটি নিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন তাতে পর্যাপ্ত জোর ছিল না। অষ্টাদশ মিনিটে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ২৫তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে মেসির আরেকটি শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখলেও তুলুজের গোল মুখ উন্মুক্ত করতে ৩৭ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় সফরকারীদের। মেসির থ্রæ বল ধরে জাল খুঁজে নেন নেইমার। লাইন্সম্যান অবশ্য শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন। তবে ভিএআর দেখে গোল দেন রেফারি। প্রথমার্ধের বাকি সময় অনেক চেষ্টা করেও বল তুলুজের জালে পাঠাতে না পারায় ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যান মেসি-নেইমাররা।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে মেসির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকান তুলুজ গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই ব্যবধান বাড়ান এমবাপ্পে। সেই গোলেও অবদান মেসির। বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে এমবাপ্পেকে পাস দেন তিনি, ডান পায়ের শটে সহজেই বাকি কাজটা সারেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে তুলুজের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকে পিএসজি। ৯০ মিনিটে এমবাপ্পের শট বারপোস্ট কাঁপিয়ে দিয়ে বক্সে থাকা ডিফেন্ডার বের্নাতের সামনে, সেখান থেকে লক্ষ্যভেদ করতে কোনো ভুল হয়নি এই স্প্যানিশের। এই ম্যাচের একমাত্র গোল দিয়ে মেসি-রোনালদোকে ছাড়িয়ে যান নেইমার। জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে এ নিয়ে টানা ১৬ ম্যাচে গোল বা অ্যাসিস্ট করার কীর্তি গড়লেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। নেইমারের আগে এই রেকর্ড দখলে ছিল আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি ও পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর। দুইজনই যৌথভাবে টানা ১৫ ম্যাচে গোল-অ্যাসিস্টের রেকর্ড গড়েছিলেন।
অন্যদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নটিংহাম ফরেস্টকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানসিটি। এই ম্যাচে টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করেন আর্লিং হলান্ড। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যানসিটির হয়ে প্রথম তিনটি গোলই তার। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম, ২৩ মিনিটে দ্বিতীয় আর ৩৮ মিনিটে তৃতীয় গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই স্ট্রাইকার।
এই ম্যাচ দিয়ে সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগে গোলের খাতা খুলেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আলভারেজ। প্রথমার্ধে হলান্ডের ধ্বংসযজ্ঞের পর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ এবং ৮৭ মিনিটে দারুণ দুই ফিনিশে জোড়া গোল করেন ২২ বছর বয়সি এই আর্জেন্টাইন। তার আগে এই অর্ধের ৫০ মিনিটে একবার বল জালে জড়ান সিটির উইংব্যাক জোয়াও ক্যানসিলো।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আরেক ম্যাচে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। নিজেদের ঘরের মাঠে খেলতে নেমে আক্রমণের কমতি রাখেনি অলরেডরা। একের পর এক আক্রমণে নিউক্যাসেল রক্ষণে বারবার ভয় ধরান রবার্ট ফিরমিনো, মোহামেদ সালাহরা। কিন্তু প্রথমার্ধে লক্ষ্য বরবার একটি শটও নিতে পারেননি তারা। নিউক্যাসেলও পাল্টা আক্রমণে ভীতি ছড়াতে থাকে লিভারপুলের সীমানায়। ৩৮তম মিনিটে পাওয়া সুযোগটি কাজে লাগিয়ে অ্যানফিল্ডকে স্তব্ধ করে দেয় তারা। শন লংস্টাফের থ্রæ পাস ধরে নিখুঁত কোনাকুনি শটে নিউক্যাসেলকে এগিয়ে নেন সুইডিশ ফরোয়ার্ড ইসাক। ৬১তম মিনিটে দেখা মেলে ফিরমিনো-সালাহ ঝলকের। মিশরের ফরোয়ার্ডের দারুণ পাস ধরে এক ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফিরমিনো। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক। ম্যাচের যোগ করা সময়ের নির্ধারিত পাঁচ মিনিট শেষ হলেও খেলা চালিয়ে যান রেফারি। শেষ মুহূর্তের আক্রমণ থেকে কর্নার আদায় করে নেয় লিভারপুল। কর্নারের পর জটলার ভেতর থেকে কারবাইয়োর শট জালে জড়ালে জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে স্বাগতিক সমর্থকরা। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচে সমান দুইটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে নিউক্যাসেল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়