ভূমির কুতুবকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আপিলে বাতিল

আগের সংবাদ

তৃণমূলে সহিংসতা বাড়ছেই : দুই সপ্তাহে অন্তত ২০টি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে, দলগুলোকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই : প্রধানমন্ত্রী > অতিরিক্ত ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ান

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অতিরিক্ত ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এখন থেকে সবাইকেই কৃচ্ছ্রতা সাধন করতে হবে, সঞ্চয় করতে হবে, অতিরিক্ত ব্যয় যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বহু দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) ২৪তম জাতীয় সম্মেলন ও ৪৩তম কাউন্সিল অধিবেশনে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের মূলপ্রান্তে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। আইডিইবির তিন বরেণ্য সদস্য প্রকৌশলীকে স্বর্ণপদক ও সম্মাননা দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। সম্মাননা পাওয়া তিন জন হলেন- বীরপ্রতীক এম এ হালিম ও ফজলুল করিম খান এবং মোহাম্মদ আলী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হলেও এখন যুদ্ধের কারণে শুধু বাংলাদেশ না, বিশ্বের বহু উন্নত দেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিশ্চিতে হিমশিম খাচ্ছে এবং রেশনিং করছে। কাজেই আমাদেরকেও সেই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। যেহেতু বিভিন্ন পণ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে সেহেতু আমাদের কৃচ্ছ্র সাধন করতে হচ্ছে। এখন থেকে আমাদের সবাইকেই কৃচ্ছ্র সাধন করতে হবে, সঞ্চয় করতে হবে, কোনো রকমের যেন আমরা কোনো কিছুতেই অতিরিক্ত ব্যয় না করি।
বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা ‘চমৎকার’ ভূমিকা রাখছেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত প্রকল্প আমাদের একেবারে আশু শেষ করা প্রয়োজন, আমরা সেগুলো দ্রুত শেষ করব। যেগুলো এখনই প্রয়োজন নেই, সেগুলো ধীর গতিতে হবে। আমরা অহেতুক টাকা ব্যয় করব না। এভাবে আমাদের পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে। তাহলেই বৈশ্বিক মন্দা আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আজকে আমরা এইটুকু দেখাতে পারি যে, আমাদের এইটুকু শক্তি আছে যে কারো কাছে হাত পেতে আমরা চলব না। আমরা আমাদের মর্যাদা নিয়ে চলব। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলব। আমাদের সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকেও গড়ে তুলতে হবে।
সবসময় একটা আত্মবিশ্বাস মনে থাকতে হবে যে, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। সেই বিজয়ী জাতি হিসেবে আমাদের পথ চলতে হবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যুগে প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্সের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। এ লক্ষ্যেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছিলাম। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়েছি। সেই সঙ্গে আমরা ট্রেনিং ও শিক্ষার ব্যবস্থাও নিয়েছি। আমরা দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বাড়ানো, প্রযুক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো ও শক্তিশালীকরণ, আঞ্চলিক যোগাযোগ অবকাঠামো তৈরি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্যতা, নারীর ক্ষমতায়ন আর সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ওপর সব থেকে বেশি জোর দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে দেশ ও আন্তর্জাতিক বাজারে যে ধরনের পরিবর্তন সূচিত হবে, তা মোকাবিলার জন্য আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের যে বিপুল শ্রমশক্তি রয়েছে তাদেরকে এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে, আর সেই যুক্ত করতে হলে তাদেরকে ট্রেনিং দিতে হবে, শিক্ষিত করতে হবে এবং দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে। এক সময় বিজ্ঞান শিক্ষার দিকে কারো কোনো আকর্ষণ না থাকলেও এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। মাত্র ৭ শতাংশ লোক কারিগরি শিক্ষা নিত। আজকে তা কিন্তু অনেক উন্নত হয়েছে।
আমরা তার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট শিক্ষার্থীর ৩০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে উন্নীত করে শিক্ষার মূলে ¯্রােতধারায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে নিয়ে আসারও পরিকল্পনা নিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়