যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি

আগের সংবাদ

সংঘর্ষে চার জেলা রণক্ষেত্র : নারায়ণগঞ্জ মানিকগঞ্জ সিরাজগঞ্জ নেত্রকোনায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত দুই শতাধিক

পরের সংবাদ

শ্রমবাজারে নতুন হাওয়া বাড়ছে রেমিট্যান্স : রেমিট্যান্স অর্থনীতিতে নতুন আশার সঞ্চার করেছে প্রবাসীরা > মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে এখনো চলছে টানাহেঁচড়া

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুজ্জামান খান : বৈশ্বিক মহামারির ধকল কাটিয়ে ডলার নিয়ে সারাবিশ্ব যখন অস্থির তখন দেশে রেমিট্যান্স বাড়ছে। রোমানিয়া, গ্রিস, ইতালি, মালয়েশিয়া নতুন করে শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করায় জনশক্তি রপ্তানির পালেও হাওয়া লেগেছে। কর্মী যাচ্ছে লিবিয়ায়। দুই বছরের মহামারির ধাক্কা সামলে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় চাঙ্গা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতি। এতে করে তাদের অভিবাসী কর্মীর চাহিদা বেড়েছে। বাড়ছে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে সর্বোচ্চ জনশক্তি রপ্তানি হচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মরিশাসে কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে। পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানেও শিক্ষানবিস কর্মী যাওয়া শুরু হয়েছে।
পূর্ব ইউরোপের বাংলাদেশিদের নতুন শ্রমবাজার রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, মলডোবা। সেখানে ইমারত নির্মাণ, জাহাজ শিল্প, কৃষিকাজ, কলকারখানা, গার্মেন্টস, বেবি সিটিং ও রেস্তোরাঁয় শ্রমিক হিসেবে গত দুই বছরে দশ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক গেছে। আরো বিশ হাজার যাওয়ার অপেক্ষায়। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি চাহিদা আছে নারী কর্মীরও। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।
সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেছেন, দেশটিতে দশ হাজার শ্রমিক গেলেও তার মধ্যে মাত্র হাজার দুয়েক শ্রমিক আছে রোমানিয়ায়; বাকিরা অবৈধপথে ইতালি, ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন ও জার্মানি চলে গিয়েছে। এতে বাংলাদেশ হারাতে পারে এই শ্রমবাজারটি। সম্প্রতি গত সপ্তাহে এভাবে অবৈধভাবে মালবাহী ট্রাকে যেতে গিয়ে আটক হয়েছে ১৬ বাংলাদেশি, যাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। অবশ্য অবৈধপথে অন্য দেশে যাবার কারণ হচ্ছে বেতন কম, সময়মতো বেতন না পাওয়া, ওভারটাইমের বেতন না পাওয়া, শ্রমিক রপ্তানিকারক অনেক সংস্থার

চুক্তি মোতাবেক কাজ না পাওয়া।
অনেকের মতে, রোমানিয়া যায়ই উন্নত ইউরোপে যাওয়ার জন্য। অবশ্য এই যাওয়া বন্ধ না করতে পারলে বাংলাদেশ হারাবে এই শ্রমবাজার। রোমানিয়া তার ভৌগোলিক সীমা রক্ষার জন্য যে বিশেষ ইলেকট্রনিকস ডিভাইস বসিয়েছে, সেই ডিভাইসের মাধ্যমে বাইরে থেকেই দেখা যাবে গাড়ি বা ট্রাকের ভেতরে কী আছে!
চলতি বছর ৪ হাজার কর্মী কোরিয়ায় যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন। তিনি বলেছেন, এই সংখ্যা গত কয়েক বছরের মধ্যে দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে গ্রিসের সঙ্গে হওয়া সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে উল্লেখ ছিল, বৈধভাবে বাংলাদেশের ৪ হাজার কর্মীকে গ্রিস কাজ করার সুযোগ দেবে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং গ্রিসের পক্ষে প্যানাইয়োটিস মিতারাচি সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশিরা ৫ বছরের স্বল্পমেয়াদি ওয়ার্ক পারমিট পাবে এবং কৃষিক্ষেত্রে সিজনাল ওয়ার্কারদের নিয়োগ দেয়া হবে। গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী নোটিস মিতারাচি নিশ্চিত করেছেন, তাদের স্কিমটি শুরু হলে অভিবাসন কর্মীদের আর মানব পাচারকারীর ফাঁদে পড়তে হবে না।
এদিকে এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৩০ হাজার নাগরিক বর্তমানে এই হেলেনিক প্রজাতন্ত্রে বসবাস করছেন যাদের অর্ধেকই অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন। গ্রিসে পৌঁছাতে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক অভিবাসী যে ঝুঁকির মধ্যদিয়ে যায়, সে বিবেচনায়ই গ্রিস ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তিটি হয়। ইনফো মাইগ্র্যান্টসকে মিতারাচি বলেন, গ্রিস অবৈধ অভিবাসীদের গ্রহণ করে না। আমরা আমাদের বর্ডার রক্ষায় সোচ্চার। ইউরোপে কারা প্রবেশ করবে, সেটি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত আমরা মানবপাচারকারীদের ওপর ছেড়ে দেই না। গ্রিসই ইউরোপের একমাত্র দেশ যে দীর্ঘমেয়াদে সিজনাল ভিসা এবং একই সঙ্গে অভিবাসীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
জানা গেছে, গত ১ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৯১৪ জন নারী-পুরুষ কর্মী সৌদি আরবে চাকরি লাভ করেছেন। একই সময়ে ওমানে ১৩ হাজার ৩১৩ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪ হাজার ৬০৩ জন, সিঙ্গাপুরে ৫ হাজার ১১৪ জন, মরিশাসে ৪১৪ জন, পোল্যান্ডে ১০৩ জন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪২৬ জন কর্মী চাকরি পেয়েছেন। গত মে ও জুন মাসে ৬ জন কর্মী টোকিওতে গেছে। তারা দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা বেতন পাচ্ছেন।
এদিকে বহুল প্রতীক্ষিত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে টানাহেচড়া এখনো চলছে। ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেটের পর সিন্ডিকেট বিরোধীরা পাল্টা সিন্ডিকেট করতে নতুন করে চেষ্টা তদবির শুরু করেছেন। এতে সেদেশের কয়েকজন মন্ত্রী এমপি জড়িয়ে পড়েছেন। প্রাথমিকভাবে কর্মী হিসেবে ভিজিট ভিসায় সহ¯্রাধিক লোক গেলেও তাদের ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, উভয় দেশের চুক্তি অনুযায়ী বিএমইটির ডাটা ব্যাংক থেকে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মী নিয়োগের কথা। কিন্তু এজেন্সিগুলো এ ব্যাপারে এগিয়ে আসছে না। মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ডাটা ব্যাংক থেকে কর্মী নেয়ার জন্য বিএমইটির ডিজি শহিদুল আলমের মাধ্যমে এজেন্সিগুলোকে চিঠি দেয়া হচ্ছে।
কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর লেবার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন খাতে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা রয়েছে। দেশটির প্রায় ৪০০ কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন জানিয়েছে। দ্রুত যাচাই-বাছাই করে কর্মী নিয়োগের সত্যায়ন দেয়া হচ্ছে। তবে দালাল চক্রের মাধ্যমে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু হাজার হাজার কর্মী রাজধানীর সংশ্লিষ্ট মেডিকেল সেন্টারগুলোতে চড়া দামে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছে। এসব কর্মী আদৌ দেশটিতে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বিএমইটির সূত্রমতে, জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে গত বছরের রেকর্ড ভেঙেছে চলতি বছরের ৭ মাসেই। এর মধ্যে গত বছরের তুলনায় বিভিন্ন দেশে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ৭১ হাজার ৮২৩ জন নারী-পুরুষ কর্মী চাকরি লাভ করেছে। গত জানুয়ারি থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৪২৬ জন কর্মী চাকরি লাভ করেছে। ২০২১ সালে বিভিন্ন দেশে চাকরি লাভ করেছিল ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন কর্মী।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের প্রথম ৭ মাসে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ১৮৭ জন। আর চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৪২৬ জন। ২০২১ সালে পুরো বছরেই এই সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ জন। গতবছরের ডিসেম্বরে বিভিন্ন দেশে সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৩১৬ জন। ২০২১ সালে মোট জনশক্তি রপ্তানির মধ্যে ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৭ জনই গেছেন সৌদি আরবে। অর্থাৎ ৭৪ শতাংশই গেছেন সৌদি আরবে। ২০২১ সালে ৮০ হাজার ১৪৩ নারী কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন। এরপর জর্ডানে ১১ হাজার ৬৯৭ জন, আর ওমানে গেছেন ৭ হাজার ৬৪৫ জন নারী কর্মী।
সূত্রমতে, চট্টগ্রাম থেকে দ্বিগুণ জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বাইরে নতুন বাজার সৃষ্টির তাগিদ রয়েছে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের। ২০২১ সালে চট্টগ্রাম থেকে ২৪ হাজার ৬১৭ জন বিদেশে চাকরি লাভ করে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসেই চট্টগ্রাম থেকে বিদেশে চাকরি লাভের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার জনে।
এদিকে জনশক্তি রপ্তানি বাড়তে থাকায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সেও গতি ফিরেছে। গত জানুয়ারি মাসে ১৭০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ডিসেম্বরের তুলনায় ৮ কোটি ডলার বেশি। ডলার সঙ্কটের মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অর্থনীতিতে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। বিদায়ী অর্থবছর রেমিট্যান্স নিয়ে যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসেই তা অনেকটাই কেটে গেছে। গত জুলাই মাসে প্রবাসীরা দেশে প্রায় ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার বা ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এটি একক মাস হিসাবে গত ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং গত অর্থবছরের জুলাইয়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।
এদিকে জনশক্তি রপ্তানি বাড়তে থাকায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সেও গতি ফিরেছে। গত জানুয়ারি মাসে ১৭০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ডিসেম্বরের তুলনায় ৮ কোটি ডলার বেশি। ডলার সঙ্কটের মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অর্থনীতিতে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। বিদায়ী অর্থবছর রেমিট্যান্স নিয়ে যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসেই তা অনেকটাই কেটে গেছে। জুলাইয়ের পর আগস্টেও ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পায় বাংলাদেশ। মাসের ২৯ দিনে ১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন (১৯০ কোটি) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাকি দুই দিনে ১০ কোটি ডলারের বেশি আসে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের মতো মাস শেষে আগস্টেও ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। জুলাইয়ে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার (প্রায় ২.১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল গত ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে বেশি ছিল ১২ শতাংশ। গত বছরের আগস্টে ১৮১ কোটি (১.৮১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রবাসীরা ১৮৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের একই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অন্যদিকে, চলতি বছরের গত জুনে প্রবাসীরা ১৮৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ফলে গত জুন মাসের তুলনায় সদ্য শেষ হওয়া জুলাইয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৬ কোটি ডলার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়