যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি

আগের সংবাদ

সংঘর্ষে চার জেলা রণক্ষেত্র : নারায়ণগঞ্জ মানিকগঞ্জ সিরাজগঞ্জ নেত্রকোনায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ : নিহত ১, আহত দুই শতাধিক

পরের সংবাদ

মেঘনার সাতানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় : ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার ৭ বছরেও হয়নি নতুন ভবন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : মেঘনার সাতানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার সাত বছর অতিবাহিত হলেও নতুন ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
সরজমিনে জানা যায়, চন্দনপুর ইউনিয়নের সাতানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত। সরকারি ভবন নির্মিত হয় ১৯৯০ সালে। চার কক্ষের ভবনটির প্লাস্টার খসে পড়ছে, রডের গায়ে মরিচা ধরেছে। জরাজীর্ণ অবস্থায় পিলারগুলো দাঁড়িয়ে আছে। ভবনের ভিতরের অংশের বিমগুলো যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে দুটি কক্ষে প্রাক-প্রাথমিক, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পাঠদান চলছে। সহকারী শিক্ষকদের অফিস ভবনের ছোট কক্ষটির অবস্থা নাজুক। সবকটি কক্ষের মেঝে ভেঙে গেছে। বিদ্যুতিক পাখা চালু করলে ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ে। তাই বিদ্যুৎ থাকলেও পাখা বন্ধ করে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পাঠদান করতে হয়।
বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ সাত জন শিক্ষক রয়েছেন। তবে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ বলেন, ২০১০ সাল থেকে সহকারী শিক্ষক ও একবছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। যোগদানের সময় থেকেই বিদ্যালয় ভবনের এমন দৈন্যদশা দেখছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অবগত আছেন। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করতে হচ্ছে। সদ্য সাবেক প্রধান শিক্ষক জীবন তারা ২০১৭ সালে নতুন ভবনের জন্য উপজেলা পর্যায়ে আবেদন করেন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছয়টি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ হলেও আমাদেরটি হয়নি। সহকারী শিক্ষক মো. সুমন মিয়া বলেন, দীর্ঘ ১১ বছর ধরে এই স্কুলে আছি। এ পর্যন্ত ভালোভাবে সংস্কার হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে বাচ্চারা লেখাপড়া করে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গাজী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি নতুন এসেছি। এ পর্যন্ত স্কুলে যাওয়া হয়নি। তবে ২০১৭ সালে নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কেন স্কুলটি ভবন পায়নি বলতে পারব না। তবে বিদ্যালয়টির চিত্র তুলে ধরে ভবনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়