ছাত্র অধিকার পরিষদ : গুমের শিকার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে

আগের সংবাদ

রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট

পরের সংবাদ

চৌগাছা : অভিযোগ কমিটির বিরুদ্ধে > মসজিদের জমি কেনার নামে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

যশোর প্রতিনিধি : জেলার চৌগাছায় একটি মসজিদের নামে জমি কিনে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কমিটির বিরুদ্ধে। বিক্রেতাসহ স্থানীয়দের দাবি- জমির মালিকরা মসজিদ কমিটির নেতাদের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পেয়েছেন। বাকি ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা কমিটির লোকেরা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন।
একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, চৌগাছা বাজার বড় জামে মসজিদের নামে বাজারের সাবেক উত্তরণ সিনেমা হলের জায়গা ১১১নং চৌগাছা মৌজার ২৯ শতক জমি ৩ কোটি টাকায় ক্রয় করলেও ২টি কবলা দলিলে মসজিদ কমিটি সে জমি ৫ কোটি ৪০ টাকা ক্রয়মূল্য দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
সূূত্র জানায়, জমির মালিক চৌগাছা উপজেলার কয়ারপাড় গ্রামের মৃত খাকাই বিশ্বাসের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোছা. হাসিনা বেগম, বাকপাড়া গ্রামের মৃত তরিকুল ইসলামের নাবালক দুই ছেলে মো. নাইমুর রহমান ও মো. তাওসিফ রহমানসহ তার স্ত্রী মোছা. শরিফা খাতুন।
তারা চৌগাছা বাজার বড় মসজিদের কমিটির নেতাদের কাছে গত ৬ আগস্ট চৌগাছা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কবলা দলিলমূলে জমি রেজিস্ট্রি করেন। রেজিস্ট্রি করার সময় মসজিদ কমিটি ২টি কবলা দলিলে জমির মূল্য যথাক্রমে ১ কোটি ৭৫ লাখ ও ৩ কোটি ৬৫ লাখ মোট ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা খরচ দেখিয়েছেন।
তবে বিক্রেতারা মসজিদ কমিটির নেতাদের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বাকি ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা কমিটির লোক ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে বাজারে ব্যাপকভাবে আলোচনা হচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়, মৃত তরিকুল ইসলামের ২ সন্তান নাবালোক হওয়ায় ২৩ শতক জমির মধ্যে ৮ শতক করে ১৬ শতক জমি তরিকুলের স্ত্রী শরিফা খাতুন নাবালোকের অভিভাবক হয়ে বিক্রি করেছেন। উক্ত টাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করিবে মর্মে আদালতের আদেশ দেয়া হয়।
জমির একাংশের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে মৃত তরিকুলের ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করার জন্য ও তার ছেলেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ৫ শতক জমি ১৬ লাখ টাকা করে ও ২৪.৩৭ শতক জমি ৯ লাখ টাকা করে বিক্রি করেছি। কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক তরিকুলের ব্যাংকের ঋণ ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। একই সঙ্গে তরিকুলের স্ত্রীকে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। মোট ৩ কোটি টাকা আমাদের দিয়েছেন। সব টাকাই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেয়া হয়েছে। নগদে কোনো টাকা নেয়া হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, বাকি ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা কমিটির লোক কীভাবে কী করেছে আমার জানা নেয়।
এ বিষয়ে বাজার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা কচির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা হকদারের ভয়ে জমির দাম বেশি উল্লেখ করেছি। একপর্যায়ে তিনি এ প্রতিবেদককে সশরীরে দেখা করতে বলেন। এদিকে মসজিদের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ করেছেন অনেকে। মসজিদ কমিটির এমন কর্মকাণ্ডে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, দেখা দিয়েছে নানা কৌতূহল। এলাকাবাসীর দাবি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক কমিটির নেতাদের আইনের আওতায় আনা হোক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়