গুলিস্তান : ভবনের ক্রেন থেকে রড পড়ে আহত ৫ পথচারী

আগের সংবাদ

আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতাদের ঘোষণা : খেলা হবে রাজপথে

পরের সংবাদ

টিপু হত্যা : গ্রেপ্তার আরো ৫ জব্দ অস্ত্র ও মোটরসাইকেল

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে হত্যায় যে অস্ত্র ও মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সময় মোটরসাইকেল চালক শামীম হোসাইন ওরফে মোল্লা শামীমসহ আরো ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- তৌফিক হাসান ওরফে বাবু, সুমন হোসেন, এহতোশাম উদ্দিন চৌধুরী অপু ও শরিফুল ইসলাম হৃদয়। ডিবি জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্রটিই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোল্লা শামীম। তবে ব্যালেস্টিক পরীক্ষায় বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, মোল্লা শামীম বেনাপোল হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরে সংবাদ পেয়ে সোমবার রাতে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর একে একে আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ৩ জনের দেয়া তথ্যে দক্ষিণ গোড়ান থেকে শরিফুল ইসলাম ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। হৃদয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি ও ৩টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। আর তৌফিক হাসান ওরফে বাবুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওই এলাকা থেকেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
জব্দ করা অস্ত্র টিপু হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা প্রথমেই মূল শুটার আকাশকে গ্রেপ্তার করেছি। আকাশ জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, যে অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটিই আমরা উদ্ধার করেছি। তবে আকাশের স্বীকারোক্তির সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে পিস্তলটির ব্যালেস্টিক পরীক্ষা করা হবে কিনা সেই বিষয়ে কিছুই জানাননি তিনি। ডিবিপ্রধান বলেন, এই মামলাটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল, দুটি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে। তারা স্বীকার করেছে এই মোটরসাইকেল ও অস্ত্র টিপু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে। আকাশকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একে একে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবিপ্রধান বলেন, হত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও মানিক। আর হত্যা বাস্তবায়নে পরিকল্পনা করেন সুমন সিকদার মুসা ওরফে শুটার মুসা। বোচা বাবু হত্যার পর টিপুর সঙ্গে মুসার একটা দ্ব›দ্ব ছিল। সেই দ্ব›দ্ব থেকেই মুসা এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পরিকল্পনা করেন। তিনি পরিকল্পনা করে শামীমকে দায়িত্ব দেন। আমরা মুসাকে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় এরই মধ্যে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছি। তার উদ্দেশ্য ছিল টিপুকে দুনিয়ে থেকে সরিয়ে দেয়া। জিসান ও মানিক বিদেশ বসে এই হত্যার সঙ্গে যোগ দিয়ে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। তারা মূলত জানান দিতে চেয়েছেন যে তারা এখনো রয়েছেন। হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। এই হত্যার ঘটনায় জিসান ও মানিককে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এখন পর্যন্ত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে ও কলেজছাত্রী প্রীতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়