গুলিস্তান : ভবনের ক্রেন থেকে রড পড়ে আহত ৫ পথচারী

আগের সংবাদ

আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতাদের ঘোষণা : খেলা হবে রাজপথে

পরের সংবাদ

চকবাজার-উত্তরা ট্র্যাজেডি : দেখা মিলেনি এমপি-মন্ত্রীর

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর চকবাজার ও উত্তরায় গত সোমবার দুটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণহানি হয় ১১ জনের। ঘটনার পর একদিন পার হলেও ঘটনাস্থলে দেখা মিলেনি স্থানীয় সংসদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা সরকারের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার। এমনকি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরেরও তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ নিহতদের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
গতকাল দুপুরে চকবাজারের বরিশাল হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ছয়জনের প্রাণহানি হয়। আর বিকালে উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের একটি গার্ডারের চাপায় প্রাইভেট কারে থাকা শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। দুটি ঘটনায় মোট ১১ জন প্রাণ হারায়। একই দিনে পরপর দুটি ঘটনা ঘটলেও নিহতদের স্বজনদের সান্ত¡না দিতে কিংবা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেননি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এমপি কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। এমনকি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তারও দেখা মিলেনি সেখানে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা।
চকবাজারের যে এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ছয়জন মারা গেছেন, সেই এলাকার সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম। একটি দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এলাকাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হলেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বড় ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম। প্রথম দিন তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। কিছু সময় সেখানে ছিলেন। কিন্তু এরপর আর সেখানে তার দেখা মিলেনি বলে জানান ওই এলাকার একজন বাসিন্দা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পুরান ঢাকায় প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটে। অনেক নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়। কিন্তু যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে তো তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়াই হয় না। এমনকি ঢাকা দক্ষিণের মেয়র, স্থানীয় সংসদ সদস্যের দেখাও আমরা পাই না। কার কাছে আর সমস্যার কথা বলব?
অন্যদিকে উত্তরায় যে এলাকায় গার্ডার পড়ে পাঁচজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সেই এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে। ওই এলাকার সংসদ সদস্য হাবিব হাসান। তাকেও ওই এলাকায় দেখা যায়নি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কিন্তু সংসদ সদস্যের দাবি তিনি সেই এলাকায় গিয়েছেন। তবে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। এ সময় তিনি ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে কোনো প্রকল্পের কাজ না করার নির্দেশ দেন তিনি। মেয়রের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ কর্মকর্তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়