বুয়েটে ছাত্রলীগের ব্যানারে সভা, বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

আগের সংবাদ

উত্তরায় গার্ডার চাপায় নিহত ৫

পরের সংবাদ

ডিএমপি কমিশনার : বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীতে যত প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার হামলা হয়েছে, এজন্যই তার নিরাপত্তার ঝুঁকি থেকেই যায়। তাই সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিভিন্ন কর্মসূচি নির্বিঘœ করতে সার্বিক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে গতকাল রবিবার এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী যত দিন থাকবেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব যত দিন থাকবে, তত দিনই তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসবেন। তাই যারা ষড়যন্ত্র করতে চায়, তারা চাইলে ১০ বছর ধরে পরিকল্পনা করতে পারেন। তাই বিষয়টা মাথায় রেখে, দেশীয়-আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট ও নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভিভিআইপি নিরাপত্তার বিষয়ে খুব বেশি প্রকাশের সুযোগ থাকে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে। তাই তার নিরাপত্তার জন্য দৃশ্যমান নিñিদ্র নিরাপত্তার পাশাপাশি বেশ কিছু অদৃশ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। যেটি সবার জানার দরকার আছে বলে মনে করি না। সর্বোচ্চ যেটি করা সম্ভব সেই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
ডিএমপিপ্রধান বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাঙালির আবেগের জায়গা। ১৫ আগস্টের কষ্ট ও শোকের সঙ্গে পালন করতে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন। সে অনুযায়ী এখানে নিরাপত্তা জোরদারের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ভেন্যুগুলো ডগ স্কোয়াড ও মাইন ডিটেক্টরের মাধ্যমে সুইপিং করা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি করা হবে। লেকে নৌপুলিশ ছাড়াও নৌবাহিনীর টহল দল থাকবে। দৃশ্যমান প্রতিটি জায়গায় নিরাপত্তা বলয় থাকবে। কয়েক দিন ধরে আশপাশের প্রতিটি আবাসিক হোটেল ও মেসে একাধিকবার নিরাপত্তা তল্লাশি চালানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানীতে যাবেন, তাই সেখানেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। রাসেল স্কয়ারের দিক দিয়ে জনসাধারণ প্রবেশ করবে ও পশ্চিম দিক দিয়ে বের হয়ে যাবে।
তিনি জানান, চারদিকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের বেরিকেড থাকবে। নির্ধারিত রুটম্যাপ অনুসরণ করে এলে সবাই কম সময়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চলে যেতে পারবেন। এর বাইরে রোড লাইনিং, রুফটপে পুলিশ সদস্য মোতায়েনসহ সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। সিটিটিসিও তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। ভ্রাম্যমাণ প্যাট্রল থাকবে, মানুষজন যাতে ৩২ নম্বরে ঢোকার আগে যথাযথ নিরাপত্তা তল্লাশি হয়, সেজন্য আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। অনুরোধ করব ব্যাগ বা ব্যাকপ্যাক নিয়ে যেন কেউ না আসেন। আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ও সোয়াত টিম সবসময় প্রস্তুত থাকবে। এখানে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে সব কিছু মনিটরিং করা হবে। যাতে সার্বক্ষণিক দেখতে পারি এবং যখন যেখানে প্রয়োজন ব্যবস্থা নিতে পারি।
৩২ নম্বরের চারপাশ ঘিরে নির্দিষ্ট বলয় তৈরি থাকবে জানিয়ে মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, কোভিডের ঝুঁকি চলে গেছে বলতে পারি না। যারা এখানে আসবেন অনুরোধ করব ন্যূনতম নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে যেন একটি মাস্ক পরে আসেন। কারণ এখন লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সব গোয়েন্দা সংস্থা থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার তথ্য নেই। সারাদেশের পুলিশ আগস্ট মাসে সব দিক থেকে সতর্ক থাকে, কারণ এটি কলঙ্কিত মাস। এ মাসে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাসহ সারাদেশে ৫০০ স্পটে বোমা হামলা, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। সব কিছু বিবেচনা নিয়ে যতটা বেশি সম্ভব সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়