ঢাবি সাংস্কৃতিক : সংসদের আয়োজন চিঠি লেখা যাবে ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’কে

আগের সংবাদ

নান্দনিক বঙ্গবন্ধু

পরের সংবাদ

সার ও তেলের দাম বৃদ্ধিতে দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ফরহাদ হোসেন, পতœীতলা (নওগাঁ) থেকে : চলতি রোপা আমন মৌসুমের শুরুতেই বৃদ্ধি পেয়েছে সার ও ডিজেলের মূল্য। এর প্রভাব পড়েছে কৃষিতেও। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা এবং ডিজেল ৩৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। জমি চাষ দিতে খরচ বেশি হচ্ছে। এবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই অনাবৃষ্টিতে নওগাঁর পতœীতলার মাঠে মাঠে আমন রোপণে সেচ দিয়ে চাষাবাদ শুরু হয়। আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণে দেখা মেলে বৃষ্টির। তা-ও এবার প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। এখনো শেষ হয়নি আমন রোপণ। পানির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে টাকা দিয়েও মিলছে না সময়মতো সেচ। এতে জমিতে শুকিয়ে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে ধান গাছের চারা। এ অবস্থায় যদি কয়েকদিন বৃষ্টি না হয় এবং সেচ না দেয়া যায় তাহলে মরে যাবে রোপণকৃত চারা গাছ। চাষ করা জমিও শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ধান উৎপাদনের খরচ ওঠানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। এদিকে বাজারে এখন চাল, ডাল, তেল, চিনি, ডিম, ভোজ্যতেল পেঁয়াজ সবজিসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বেশি। এদিকে বাজারে পটাশ সারের সংকট বলেও জানিয়েছেন কয়েকজন কৃষক। কোনো কোনো সার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারি রেটের চেয়েও বেশি দাম নেয়ার অভিযোগও আছে। নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে অতিরিক্ত সেচ, সার ও ডিজেলের দাম বাড়ায় প্রতি বিঘায় অতিরিক্ত সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার বাড়তি খরচ হচ্ছে। বিলম্বে চারা রোপণ করায় ফলন কম হতে পার বলেও তাদের ধারণা। এতো খরচ করে আমন আবাদ করে লোকসান হতে পারে জানিয়েছেন অনেকেই। গরু-ছাগল বিক্রি, বউয়ের গহনা বন্ধক, এনজিও ঋণ এবং দোকান বাকি রেখে চাষ করেছেন স্বপ্নের আমন ধান। জিনিসপত্রের যে দাম তাতে স্বপ্ন পূরণ হওয়া নিয়ে সংশয়ে তারা। শ্রমিকরা জানান, বাজারে চাল ডাল তেল সবজি সবকিছুর দাম বেশি। তাই মজুরি একটু বেশি দিলে ভালো হয়। তবে কেউ দেয় কেউ দেয় না। আমাদের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের কৃষক আপেল মাহমুদ বলেন, তিন একর জমিতে এবার আমন আবাদ করেছেন। রোপণ শেষ হয়েছে। সার ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার বিঘাপ্রতি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। পতœীতলার কৃষক আলম বলেন, ৫ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। এবার লাভ হবে না। কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষক ইয়ামিন বলেন, তিনি বড় মাপের ১৬ বিঘাতে আমন ধান রোপণ করেছেন। সার ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি ও সেচ দিতে আমাদের অনেক খরচ বেড়ে গেছে। মনে হয় না খুব বেশি লাভ হবে চাষ করে।
আর যারা বর্গাচাষি তাদের কোনো লাভই থাকবে না। উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণ, পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসারণ করতে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য দ্রুত প্রত্যাহার করা, কৃষি খাত ও কৃষককে ভর্তুকি, উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে- এমনটাই দাবি করেন এলাকার কৃষক ও সচেতন মহলের অনেকে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, এখনো আমন ধান রোপণের সময় আছে। যদি চারার বয়স ৩০ দিনের বেশি হয় তাহলে ফলন কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়