ঢাবি সাংস্কৃতিক : সংসদের আয়োজন চিঠি লেখা যাবে ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’কে

আগের সংবাদ

নান্দনিক বঙ্গবন্ধু

পরের সংবাদ

শেষ মুহূর্তের ঝড়ে ডর্টমুন্ডের বড় জয়

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফুটবলে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রথমেই প্রয়োজন ছন্দ খুঁজে পাওয়া। বুন্দেসলিগায় গতকাল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড যেন ম্যাচজুড়ে সেই ছন্দের খোঁজেই ছিল। জয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে ম্যাচের শেষ দিকে এসে বহুল প্রত্যাশিত সাফল্য পেয়েছে তারা। শেষ দিকের ঝড়েই ফ্রেইবার্গকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। ফ্রেইবার্গের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মাইকেল গ্রোগোরিচ। অপরদিকে ডর্টমুন্ডের হয়ে একটি করে গোল করেন জেমি বাইনো গিটেনস, জোসেফ মুকোকো ও মারিউস উলফ।
ইউরোপা পার্ক স্টেডিয়ামে গতকাল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে বেশ দাপুটে খেলেছেন স্বাগতিকরা। ঘরের মাঠে সুবিধাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে না পারলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন ক্রিশ্চিয়ান স্ট্রেচের শিষ্যরা। ম্যাচজুড়ে বল নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে থাকলেও সুযোগ পেলেই আক্রমণ করেছেন স্বাগতিকরা। সফরকারীদের ৬২ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণের বিপরীতে মাত্র ৩৮ শতাংশ সময় বল নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন। এর মধ্যে মোট শট নিয়েছে ১৬টি। যেখানে লক্ষ্যে রেখেছেন ৭টি। অপরদিকে মাত্র ১৩টি শট নিতে পেরেছেন সফরকারীরা। সেখান থেকে ৬টি শটই লক্ষ্য বরাবর রেখেছেন। ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেছেন স্বাগতিকরা। যার সুবাদে ম্যাচের প্রথমার্ধেই লিড পেয়েছিলেন তারা, যা ম্যাচের প্রায় শেষ সময় পর্যন্ত ধরে রেখেছিল। কিন্তু ডর্টমুন্ডের শেষ দিকে ঝড়ে স্বাগতিকদের থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন সফরকারীরা। ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ এসেছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের লম্বা পাস নিয়ন্ত্রণে নেন অ্যান্থনি মডেস্তে। ডি-বক্সে প্রবেশ করার আগে সতীর্থের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান পাসের মাধ্যমে প্রায় গোলরক্ষকের সামনে চলে গিয়েছিলেন মডেস্তে। তবে গোলপোস্টের ডান প্রান্ত থেকে জোরালো শট নিয়েও ফ্রেইবার্গের গোলরক্ষককে প্রতিহত করতে পারেননি। ৩৫ মিনিটের মাথায় ম্যাচে এগিয়ে যায় ফ্রেইবার্গ।
বাঁ-প্রান্ত থেকে ডি-বক্সের উদ্দেশে লম্বা শট নেন ক্রিশ্চিয়ান গুন্টার। গুন্টারের বাড়ানো বল সতীর্থে হেডের সাহায্যে গোলমুখে পান মাইকেল গ্রোগোরিচ। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে আকাশে ভেসে আসা বলকে আরেকটি হেডের মাধ্যমে গোল করেন গ্রোগোরিচ। বিরতি পর্যন্ত সফরকারীরা সমতায় ফিরতে পারেননি। বিরতি পর ফিরে সুযোগ পেয়েছিলেন দাহুদ।
৫৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে একাধিক প্লেয়ারকে কাটিয়ে ডি-বক্সের সামনে যান মাহমুদ দাহুদ। ডি-বক্সের বাইরে থেকেই লম্বা শট নিয়েছিলেন তিনি। তবে লক্ষ্য বরাবর রাখতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ এসেছিল ডর্টমুন্ডের। থ্রো’র সাহায্যে বল পান মার্কো রুস। এরপর ফ্রেইবার্গের রক্ষণভাগের দুই ফুটবলারকে কাটিয়ে গোলপোস্টের ডান দিক থেকে শট নেন রুস। তবে গোলরক্ষক সহজেই প্রতিহত করেন তার শট। তবে ম্যাচের মাত্র ১৫ মিনিট বাকি থাকতেই চোখের পলকে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় সফরকারীরা। ৭৬ মিনিটে সমতায় ফেরে ডর্টমুন্ড।
ডি-বক্সের বাইরে থেকে লম্বা শট নেন জেমি বাইনো গিটেনস। প্রথম প্রচেষ্টায় ফ্রেইবার্গের গোলরক্ষক মার্ক ফ্লেকেন প্রায় ধরে ফেললেও হাতে লেগে বল লাফিয়ে উঠে গোলপোস্টে ঢুকে যায় বল। জেমি বাইনোর এই গোলে সমতায় ফেরে ডর্টমুন্ড। এরপর ৮৪ মিনিটে লিড পায় সফরকারীরা।
প্রতিপক্ষের বিপৎসীমায় বল বাড়িয়ে দেন জেমি বাইনো। এরপর আলতো টোকায় জোসেফ মুকোকোর দিকে বল বাড়ান মারিউস উলফ। ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে দারুণ এক প্লেসিং শটে গোল করেন মুকোকো। এর ৪ মিনিট পরই দলের জয় নিশ্চিত করেন মারিউস উলফ। বল নিয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন তিনি। প্রথমে সতীর্থদের উদ্দেশে ক্রস করেছিলেন। তবে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে আবারো তার পায়েই ফিরে আসে বল।
ফিরতি বল পেয়ে ডি-বক্সে প্রবেশ করে ডান পায়ে জোরালো শট নেন তিনি। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল চলে যায় ফ্রেইবার্গের জালে। মারিউস উলফের এই গোলের সঙ্গে নতুন মৌসুমের দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। টানা দুই ম্যাচে জয়ের সুবাদে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের শীর্ষে আছে ডর্টমুন্ড। অপরদিকে লা লিগার নতুন মৌসুমের অভিষেক ম্যাচ জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রেখেছে ওসাসুনা। সেভিলার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ওসাসুনা। ওসাসুনার হয়ে একটি করে গোল পেয়েছেন ইজেকিয়েল আভিলা ও আইমার ওরোজ। সেভিলার হয়ে একামত্র গোলটি করেন রাফা মির। ঘরের মাঠে সফরকারীদের থেকে বল নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে ছিল ওসাসুনা। সেভিলার ৬৬ শতাংশ বল নিয়ন্ত্রণের বিপরীতে মাত্র ৩৪ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছেন তারা। তবে এই এল্প সময়েই জয় তুলে নিয়েছেন তারা। ওসাসুনার জয় নিশ্চিত হয়েছে ম্যাচের প্রায় শেষ দিকে।
স্পেনের এল সদর স্টেডিয়ামে গতকাল ম্যাচের ৯ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। গোলপোস্টের ডান প্রান্ত থেকে উড়ে আসা ক্রসকে দারুণ হেড দিয়ে জালে জড়ান ইজেকিয়েল আভিলা। এর দুই মিনিট পরই সমতায় ফেরে সফরকারী সেভিলা। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বলকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন থমাস ডিলেনি।
গোলমুখের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রাফা মির সেই বলে পা লাগিয়ে দিক পরিবর্তন করে দেন। এরপর ম্যাচের ৭৩ মিনিটে ওসাসুনার জন মানকাওলাক বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকতে বাধা দেন পাপু গোমেজ। রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজানোর সুবাদে পেনাল্টি পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। স্পট কিক থেকে দ্বিতীয় গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন আইমার ওরোজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়