ঢাবি সাংস্কৃতিক : সংসদের আয়োজন চিঠি লেখা যাবে ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’কে

আগের সংবাদ

নান্দনিক বঙ্গবন্ধু

পরের সংবাদ

‘ম্যাজিস্ট্রেট’ পরিচয়ে দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রামগঞ্জ (ল²ীপুর) প্রতিনিধি : রামগঞ্জ উপজেলার ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বিঘা তালুকদার বাড়ির আলী আজমের ছেলে সাইফুল ইসলাম এলাকায় তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা আখিকে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে চাকরিসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে অর্ধশত লোকের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গত জুন মাস থেকে পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আবু ইউছুফ বাদী হয়ে ওই ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ও তার স্ত্রীসহ ৮ জনকে আসামি করে ৮ জুলাই ল²ীপুর জজ আলাদতে একটি প্রতারণা মামলা করে। মামলায় সাইফুলের বাবা আলী আজমকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রতারক সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন পলাতক থেকে ২০২১ সালের শেষ দিকে তার স্ত্রীসহ বাড়িতে আসে। থাকত চাচা দুলাল তালুকদারের ভবনের ২য় তলায়। স্ত্রীকে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট, শ্বশুরকে হাইকোর্টের বিচারক, স্ত্রীর বড় আবদুল কাদেরকে রাজারবাঘ পুলিশ লাইনের এসপি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুন নাহারকে স্ত্রী বড় বোন হিসেবে পরিচয় দেয়। বাড়িতে আসা-যাওয়ার সময় গাড়িতে ব্যবহার করত ম্যাজিস্ট্রেটের স্টিকার। প্রতিবার বাড়িতে এলে ২-৩ দিন থাকত। এভাবে কয়েক মাস আসা-যাওয়ার মধ্যে মানুষ বিশ্বাস করা শুরু করেন। এদিকে সাইফুল তার চাচা দুলাল মিয়া, হাসান মিয়া, তার ভগ্নিপতি রাজু ও বন্ধু সোহাগসহ কয়েকজনের মাধ্যমে চাকরি দেয়ার কথা বলে আবু ইউছুফের কাছ থেকে ১২ লাখ, আল আমিনের কাছ থেকে ৬ লাখ, মোবাশ্বের আক্তারের কাছ থেকে ৫ লাখ, সুমনের কাছ থেকে ৬ লাখ, নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ১২ লাখ, দিলরুবা বেগমকে সরকারি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৬ লাখ টাকাসহ এভাবে প্রায় অর্ধশতাধিক লোকের কাছ থেকে ২ কোটি টাকা নিয়ে গত জুন মাস থেকে পলাতক রয়েছে। এদিকে মানুষ চাকরির আশায় ধারদেনা ও সুদে টাকা দিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। মামলার বাদী আবু ইউছুফ বলেন, সাইফুল স্ত্রীকে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ও তার আত্মীয়স্বজনের পরিচয় দিলেও প্রথমে মানুষ বিশ্বাস করেনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে গাড়িতে ম্যাজিস্ট্রেটের স্টিকার, ভিজিং কার্ড ও থানার ওসিসহ প্রশাসনের লোকজনের আসা-যাওয়ায় বিশ্বাস করা শুরু করে এবং তার চাচা, বাবা, বোন, ভগ্নিপতি, বন্ধুরাসহ সবার কথায় মানুষ চাকরির প্রলোভনে টাকা দেয়। সে অনেককে ভুয়া জয়েনিং পত্রও দিয়েছে। প্রতারক সাইফুলের খালা রোকেয়া বেগম ও খালু নুর মোহাম্মদ বলেন, সাইফুল ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে ঢাকায় চলে যায়। এরপর বিদেশ গিয়ে প্রথমে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। পরে বহু বছর দেশে আসে নাই। এবার স্ত্রীকে নিয়ে এসে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেয়। থানার ওসিসহ প্রশাসনের লোকজন তার কাছে আসে। মানুষও বিশ্বাস করে তাকে টাকা-পয়সা দিয়েছে।
আমরা বিশ্বাস করি নাই এবং অনেক লোককে না করেছি। তারপরও মানুষ টাকা দিয়েছে। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা জানান, সাইফুল ও তার স্ত্রী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে চাকরির কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়েছে। একথা আমি অনেকের কাছে শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়