ঢাবি সাংস্কৃতিক : সংসদের আয়োজন চিঠি লেখা যাবে ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’কে

আগের সংবাদ

নান্দনিক বঙ্গবন্ধু

পরের সংবাদ

বুয়েটে ছাত্রলীগের ব্যানারে সভা, বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের ব্যানারে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়ে প্রোগ্রাম চলে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত। এদিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় ছাত্রলীগের এই কর্মসূচির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিক্ষোভকারী ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একত্রিত হতে থাকে। এরপর প্রোগ্রাম শেষে সাবেক বুয়েটে ছাত্রলীগ নেতারা বের হলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘আবরারের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না’, ‘রাজনীতির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না!’ বলে সেøাগান দিতে থাকে।
প্রোগ্রাম শেষে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাল মাহমুদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম নয়। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার জন্য দোয়ার প্রোগ্রাম। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সমস্বরে বলে উঠেন, তাহলে ছাত্রলীগের ব্যানারে কেন? বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবেও করতে পারতেন!
প্রোগ্রামে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক বুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বুয়েটে ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। আবরারের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা তো কুলাঙ্গার! প্রোগ্রাম শেষে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা খুনি খুনি বলে সোগান দিতে থাকে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করলে শিক্ষার্থীরা প্রেস ব্রিফিং করেন। তারা বলেন, যে ছাত্ররাজনীতি একসময় দেশের ক্রান্তিলগ্নে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল, পরাধীনতার হাত থেকে মুক্ত করে জন্ম দিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের, সেই ছাত্ররাজনীতি আজ ক্ষমতার অপব্যবহারে কলুষিত।
তারা আরো বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে নিরীহ শিক্ষার্থীদের বারবার প্রাণ ঝরেছে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলোর অপকর্মে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নৃশংস অত্যাচারে আবরার ফাহাদ নিহত হন। এর প্রতিবাদে বুয়েটের সব সাধারণ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সব রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও আজ (গতকাল) সেমিনার হল বুয়েট অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েটের সাবেক নেতাদের আয়োজনে একটি ব্যানার দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি পাওয়ায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অবস্থান এবং সুপষ্ট জবাব চান শিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়