ঢাবি সাংস্কৃতিক : সংসদের আয়োজন চিঠি লেখা যাবে ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’কে

আগের সংবাদ

নান্দনিক বঙ্গবন্ধু

পরের সংবাদ

বিপাকে সাধারণ মানুষ : সৈয়দপুরে সবজি ও মুদি পণ্যের দাম লাগামছাড়া

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিকরুল হক, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় সৈয়দপুরে সবজি ও মুদি পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ফলে সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম অবস্থায় পড়েছে সীমিত আয়ের চাকরিজীবী ও শ্রমজীবীরা। গত চারদিনে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে। এছাড়া বেড়েছে চাল, আটা, চিনির দাম। দাম বাড়ায় সব পেশাজীবীর মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়েছে সবজি ও মুদি বাজারে। এমনটি বলছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
সৈয়দপুর পাইকারি কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী তোফায়েল মোহাম্মদ আজম বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজির প্রচুর আমদানি রয়েছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এখন সবজি পরিবহনে বেপারিদের প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। সবজির আমদানি দেখে যেখানে সবজির দাম ধীরে ধীরে কমার কথা, সেখানে গাড়ি ভাড়ার কারণে সবজির দাম বাড়ছে। গত শনিবার শহরের রেলওয়ে কারখানা গেট বাজার ও পৌর সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে পটল ৪০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বেগুন ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারতীয় মরিচ আমদানি হওয়ায় দেশি কাঁচা মরিচ কেজিতে ২০ টাকা কমে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার সারিতে রয়েছে শিম, পেঁপে, কুমড়ার জালি ও শাকসবজি। সব ধরনের সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে সৈয়দপুর পৌর সবজি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আশরাফ হোসেন বলেন, পাইকারি আড়তে সব সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে। পাইকাররা বলছেন, তেলের দাম বাড়াতে গাড়ি ভাড়া দ্বিগুণ বেড়েছে। মোকামে বেশি টাকা দিয়ে সবজি কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বেচতে হচ্ছে।
রেলওয়ে কারখানার গেটবাজারে সবজি কিনতে আসা চাকরিজীবী তরুণ মণ্ডল বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম অসহনীয় হয়ে গেছে। ১০০ টাকার সবজি দিয়ে একদিনের খাবার চলে না। এছাড়া চাল, তেল, চিনির দাম লাগামহীন। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে আমাদের মতো মানুষের পক্ষে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের জিনিসের দাম বাড়ানোর জন্য কোনো কারণ লাগে না। আর এখন তো একটা অজুহাত পেয়েছে, তেলের দাম বাড়তি। এদিকে বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি চাল ৬ থেকে ১০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার ২০ টাকা ও প্রতি কেজি চিনি ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়