ঢাবি সাংস্কৃতিক : সংসদের আয়োজন চিঠি লেখা যাবে ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’কে

আগের সংবাদ

নান্দনিক বঙ্গবন্ধু

পরের সংবাদ

অর্থনীতিতে অবদান রাখছে কেঁচো সার

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া খুলনা থেকে : ডুমুরিয়ায় আধুনিক কৃষিতে কেঁচো কম্পোস্ট সার বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। উৎপাদনে এ যেন এক নতুন সম্ভাবনা। কেঁচো সার চাষ করে অনেক ব্যক্তির ভাগ্যেরও পরিবর্তন ঘটেছে। এতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক সার ব্যবহারে সুফল পাচ্ছে কৃষক। প্রাথমিকভাবে এসব কৃষকের মনে বিরূপ ধারণা থাকলেও তা কেটে গেছে। এই সার উৎপাদন করে নিজেরা সচ্ছল হওয়ার পাশাপাশি আর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন। উপজেলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত অর্থবছরে ডুমুরিয়ায় ৪০ জন খামারিকে নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সারের প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ছোট-বড় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী রয়েছেন, যারা উপজেলার চাহিদাপূরণ করে বাইরেও এই সার বিক্রি করছেন।
জানা গেছে, উপজেলার আবু হানিফ মোড়ল প্রায় ১০ বছর আগে স্বল্প পরিসরে প্রাকৃতিক জৈব সার উৎপাদনের সূচনা করেন। বর্তমানে এসব খামার থেকে প্রতি মাসে প্রায় কয়েকশ টন কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন হচ্ছে। স্বল্প খরচে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত কেঁচো সার অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা চান স্থানীয় কৃষকরা। কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে কেঁচো সার। ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী আবু হানিফ মোড়ল জানান, আমি ২০১৩-১৪ সাল থেকে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছি। আমার খামারে প্রতি মাসে প্রায় ১০ টন সার উৎপাদন হয়। এই সার ব্যবহার করে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন, পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছে আমার মতো খামারিরা। উপজেলার আরেকজন ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনকারী সাবেক চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ জানান, ২০১৮ সালে একটি এনজিওর মাধ্যমে সর্বপ্রথম আমি কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করি। জৈব সার উৎপাদন ও বিক্রি করে আমাদের বর্তমানে সচ্ছলতা ফিরেছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে আমার খামার থেকে প্রতি দেড় মাসে প্রায় ১৫ টন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায় এ উৎপাদিত সার। দিন যত যাচ্ছে ভার্মি কম্পোস্টের চাহিদাও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে আমার মতো খামারিরা ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে সাফল্য অর্জন করতে পারবে।

এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন ওরফে তুহিন ভোরের কাগজকে জানান, ভার্মি কম্পোস্ট জৈব সারের এক নতুন সম্ভাবনার নাম। গোবর থেকে কেঁচোর মাধ্যমে উৎপাদিত এই সার কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। কৃষকরা ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার ও উৎপাদনে উৎসাহী হচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে আমরা তাদের সার্বিক সহায়তা দিয়ে আসছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়