বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের যাত্রা শুরু

আগের সংবাদ

সিন্ডিকেটে চড়ছে চালের বাজার : প্রতি কেজিতে পরিবহন খরচ বেড়েছে ৫৮ পয়সা, বিপরীতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা

পরের সংবাদ

বিত্তবানদের নামে খাসজমি : শিগগিরই তদন্ত শুরু করবে দুদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৪২ বিত্তবানের নামে ২৫ কোটি টাকা মূল্যের ৭২ একর খাসজমি বন্দোবস্ত দেয়ার ঘটনায় শিগগিরই তদন্ত শুরু করবে দুদক। বিষয়টি তদন্তের জন্য অনুমোদন পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর কলাপাড়া থানায় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলাটি ফাইনাল রিপোর্টে নথিজাত করে দুদকের একজন সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে দুদক কার্যালয়ে মামলা দায়ের করবেন। এরপর নতুন করে মামলার তদন্ত শুরু করবে দুদক। এর আগে কলাপাড়া থানা পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত একমাত্র আসামি ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের জন্য পটুয়াখালীর দুদক উপপরিচালকের কার্যালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দুদক, পটুয়াখালী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম।
এদিকে জেলা প্রশাসনের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি এ ঘটনায় এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি। এছাড়া ২৫ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি বন্দোবস্তকাণ্ডে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর সঠিক ছিল কিনা, তা নিশ্চিত হতে এখনো সিআইডি বিশেষজ্ঞের মতামতের জন্য পাঠানো হয়নি। কিন্তু এর আগে বেশ কিছু প্রিন্ট, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তদন্ত কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি হিসেবে তদন্ত কমিটিতে আছি। তদন্ত কার্যক্রম প্রায় শেষ, প্রতিবেদন দাখিলের আগে আমরা কমিটির সদস্যরা আর একবার বসব।
জেলা রেজিস্ট্রার ও তদন্ত কমিটির অপর সদস্য মো. কামাল হোসেন বলেন, বন্দোবস্ত দলিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর সঠিক ছিল কিনা, এটি সিআইডির এক্সপার্ট ওপিনিয়ন ছাড়া বলা যাবে না। তদন্ত প্রতিবেদন কবে নাগাদ জমা দেয়া হবে এটি তদন্ত কমিটির প্রধান বলতে পারেবেন বলে জানান তিনি। তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ওবায়দুর রহমানের কাছে এ বিষয়ে তথ্য জানতে তার সরকারি নম্বরে ফোন দেয়ার পরও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ৭২ একর খাসজমি বন্দোবস্তের মামলার কাগজপত্র আমরা থানা পুলিশের কাছ থেকে পেয়েছি। এ সংক্রান্ত অনুমোদন পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দুদক প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর কলাপাড়া থানায় দায়েরকৃত মামলাটি ফাইনাল রিপোর্টে নথিজাত করে দুদকের একজন সহকারী পরিচালক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন। এরপর নতুন করে মামলার তদন্ত করবে দুদক।
দুদকের উপপরিচালক আরো বলেন, ভুয়া বন্দোবস্ত বাতিল করলেই তো সব শেষ হয়ে যায় না, অপরাধ তো সংঘটিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়কে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত অরিজিন পেপারস্ প্রস্তুত রাখার জন্য বলেছি। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা তদন্ত শুরু করব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর যাচাইয়ে সিআইডি বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হবে। এছাড়া সাব-রেজিস্ট্রার কীসের ভিত্তিতে দুই শতাংশের বেশি পরিমাণ জমি রেজিস্ট্রি করলেন সেটিও আমরা খতিয়ে দেখব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়