বাড়িসহ বিপুল সম্পদ : অনুসন্ধান চেয়ে ওসি মনিরুলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

শ্রমিক ধর্মঘটে ‘অচল’ চা শিল্প

পরের সংবাদ

বাংলা একাডেমির আয়োজন : বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস স্মরণে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘শোক থেকে শক্তি, শক্তি থেকে জাগরণ, জাগরণ থেকে সোনার বাংলা’ শীর্ষক দশ দিনব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে অনলাইনে এক আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর। বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আবুল কাসেম রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উন্নয়নদর্শন জাতীয়করণনীতি এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা’ গ্রন্থ নিয়ে আলোচনায় সূচনা বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান এবং পরিচালক নূরুন্নাহার খানম। মুনতাসীর মামুন বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী অর্থনৈতিক পরিকল্পনাসমূহ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বিস্ময়কর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির মৌলিক উপাদানগুলো কীভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে প্রয়োগের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, তাকে এই গ্রন্থের লেখক বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭২-১৯৭৫ সালের মধ্যে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে বঙ্গবন্ধু কতটা উচ্চতায় তুলে এনেছিলেন এবং তিনি বেঁচে থাকলে আরো কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতেন, তারই একটি পূর্ণাঙ্গ আকরগ্রন্থ আবুল কাসেমের বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উন্নয়নদর্শন।
আবুল মনসুর বলেন, নিম্নবৃত্ত ও মধ্যবৃত্তের সমাজব্যবস্থায় আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য আনয়নই ছিল বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক উন্নয়নদর্শনের মূলনীতি। বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন দেশে কৃষি ও শিল্পবিপ্লব ঘটিয়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা সম্ভব। এ কারণে তার পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কৃষি ও শিল্প উন্নয়ন

প্রভূত প্রাধান্য পেয়েছে।
সেলিনা হোসেন বলেন, রাজনীতির মহান কবি বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের মূল কথাই ছিল মানুষ এবং মানুষের কল্যাণ। তিনি যেমন গণতন্ত্রের কথা বলেছেন তেমনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে অর্থনৈতিক নীতিও নির্ধারণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন নিবিড়ভাবে উপলব্ধি করতে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত এ গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের মাটি থেকে উত্থিত উন্নয়নের দর্শনই ছিল বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন। এ মহান রাজনীতিবিদ কেবল রাষ্ট্রদর্শনই নয়, অর্থনীতি সম্পর্কেও গভীর জ্ঞান রাখতেন। বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছেন সে বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা দরকার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়