যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ : সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

বিসিবির ধমকে পিছু হটলেন সাকিব : বিসিবি সভাপতি পাপনের আল্টিমেটামের পর বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে চিঠি

পরের সংবাদ

লৌহজংয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মানবেতর জীবন

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের খড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩টি টিনশেডের ৩০টি ঘরে ২৫০-৩০০ জনের বসবাস। ১৯ বছরের পুরাতন এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটির ঘরগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের।
গতকাল সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩টি টিনশেডের ঘরে বেড়া, দরজা ও জানালা ভাঙা রয়েছে। ঢেউটিনের চালের উপর প্লাস্টিক ও পলিথিন দিয়ে কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে বসবাস করছেন তারা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা প্রিয়া বিবি, মো. কাইয়ূম মাল, মো. টুটুল ও রশি বলেন, সরকারিভাবে এ ঘরগুলো যখন আমরা পাই তখন সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল।
আমরা ভালোভাবে বসবাস করেছিলাম। এখন প্রায় সাত বছর ধরে আমাদের বসবাসে অনেক সমস্যা হচ্ছে। ঘরের চাল দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। বাতাস এলে ঘর নড়ে ওঠে। সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে যায়। এখানে পর্যাপ্ত টয়লেট নেই। ২৫০-৩০০ মানুষের জন্য টিউবওয়েল মাত্র একটি। তারা আরো বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনেক বার গিয়ে কোনো সুফল পাইনি। আমাদের সামর্থ্য নেই ঘর ঠিক করে থাকার। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাদের এখানে আসে না। তাদের কাছ থেকে কোনো প্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা পাই না। আমরা বেদে সম্প্রদায়, অনেকেই ঘৃণার চোখে দেখে। তবে আমরা মানুষ হিসেবে সরকারের কাছে সাহায্য চাই।
কুমারভোগ ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য মো. নাহিদ হোসেন বলেন, আমি নিজে সরজমিন গিয়ে দেখেছি তাদের সমস্যাগুলো বাস্তব। ঘরগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকের সামর্থ্য নেই যে ঘরগুলো বসবাসের উপযোগী করে তুলবে। তারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে গিয়েছিল। কোনো সুফল পায়নি। এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাজেদা সরকার বলেন, আমরা লিখিতভাবে কোনো সহযোগিতার আবেদন পাইনি। তবে এ বিষয়ে অবগত আছি।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, বহু পুরাতন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে যারা দীর্ঘদিন থাকবে তারা বসবাস উপযোগী হিসেবে গড়ে নিবেন। তাদের কিছু চাহিদা আমরা পূরণ করার চেষ্টা করব। যেমন টিউবওয়েল ও টয়লেটের চাহিদা। তবে আমরা কোনো লিখিত আবেদন পাইনি। যদি আবেদন পাই তবে যাচাই-বাছাই করে সহযোগিতা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়