কাগজ প্রতিবেদক : দেশের ৬৪টির মধ্যে ৫১ জেলাই ম্যালেরিয়ামুক্ত। তবে গত বছরের তুলনায় দেশে ম্যালেয়িয়া রোগী বেড়েছে। সরকারের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য বলছে, ২০২০ সালে দেশে ৬ হাজার ১৩০ জন ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৯ জন। ২০২১ সালে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয় ৭ হাজার ২৯৪ জন। ওই বছরও মারা গেছে ৯ জন। দেশে উঁচু জেলাগুলোতে ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকায় রয়েছে ময়মনসিংহ, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এলাকা। এসব এলাকায় বিশেষ নজর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে সেসব দেশেও যাতে ম্যালেরিয়া সংক্রমণ বন্ধ হয় সেই ব্যবস্থা নেয়ারও তাগিদ দেন তারা।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির ৫ম যৌথ পর্যবেক্ষণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. বারধান জাং রানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে ম্যলেরিয়া সংক্রমণ ছিল ৫৭ হাজারের বেশি। বর্তমানে ৬ থেকে ৭ হাজারের বেশি সংক্রমণ হয় না। কোভিড-১৯ এর সময়ে দেশে অনেকে স্বাস্থ্যসেবা পায়নি। এজন্য ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু বাড়তে পারে।
এছাড়া আমাদের ম্যালেরিয়া নির্মূলে নিজেদের কাজের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। আমাদের দেশে মশা নির্মূল হলেও বর্ডার দিয়ে মশা তো আর আটকে থাকে না। তবে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা দেশকে ম্যালেরিয়া মুক্ত করব। অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, কোভিডের সময়েও ম্যালেরিয়া নির্মূলে কাজ করেছে সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে এটিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে উঁচু এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। আক্রান্তদের ৭৫ শতাংশ রোগী বান্দরবান এলাকায় পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় বেশি নজর দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।