যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ : সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

বিসিবির ধমকে পিছু হটলেন সাকিব : বিসিবি সভাপতি পাপনের আল্টিমেটামের পর বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে চিঠি

পরের সংবাদ

বন্ধুকে হত্যার ১১ বছর পর গ্রেপ্তার জিকু

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর এলাকা থেকে মো. জিকু (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তি রাজধানীর নবাবপুরে রজব আলী হত্যাকণ্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। র‌্যাব জানিয়েছে, নিহত রজব আলী ও জিকু বন্ধু ছিলেন। তারা দুজনই মাদকাসক্ত। মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে রজব আলীর সঙ্গে জিকুর শত্রæতা সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে ২০১১ সালে জিকু তার সহযোগীদের নিয়ে রজবকে হত্যা করেন। হত্যকাণ্ডের পর দীর্ঘ ১১ বছর বিভিন্ন জায়গায় নাম-পরিচয় বদলে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গতকাল বুধবার দুপুরে পলাতক জিকুকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে রাজধানী কারওয়ান বাজারে র?্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আটক ব্যক্তি ও ভুক্তভোগী দলবেঁধে মাদকসেবন করতেন। একদিন মাদকসেবনের টাকা না থাকায় ভুক্তভোগী রজব আলীর কাছে তাদের মাদকসেবনের অপর এক সঙ্গী সজীব নামে একজনের মোবাইল জামানত রেখে টাকা নেন জিকু।
ওই টাকা দিয়ে দলবেঁধে মাদকসেবন করেন তারা। তবে টাকা পরিশোধ না করে জামানতের মোবাইল ফেরত চাওয়ায় জিকু ও রজবের মধ্যে শত্রæতা সৃষ্টি হয়। এই শত্রæতাকে কেন্দ্র করে জিকুর নেতৃত্বে ২০১১ সালের ২৪ জুলাই রাতে ভুক্তভোগীকে এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। তিনি আরো বলেন, ওই ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় রজবের ভাই জুম্মন হত্যা মামলা করেন। পরে ২০১২ সালে ৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। বিচার কাজ শেষে আদালত ২০১৯ সালে ১ আগস্ট জিকু, রহিম ওরফে আরিফ ও আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে টাইগারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। এছাড়া একই রায়ে ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে খালাস দেয়া হয়।
র?্যাব-৩ এর সিও বলেন, পলাতক জীবনে মোটর মেকানিকে হিসেবে কাজ করতেন জিকু। মেকানিকের কাজ জানায় অতি সহজেই কর্মস্থল পরিবর্তন করতে পারতেন তিনি। এভাবে কিছুদিন বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থাকার পর আবার ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি। লম্বা চুল ও দাড়ি রেখে নাসির উদ্দিন পরিচয়ে ধোলাইখাল এলাকায় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতে শুরু করেন। এরই মধ্যে মাদকাসক্তির পরিমাণ বাড়তে থাকায় মুন্সীগঞ্জের একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হন তিনি। সেখানকার কর্তৃপক্ষ তাদের চিকিৎসার অংশ হিসেবে জিকুর চুল ও দাড়ি কেটে দেয়। এভাবেই তার আসল চেহারা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে প্রকাশ পায়। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ তাকে গ্রেপ্তার করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়