যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ : সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

বিসিবির ধমকে পিছু হটলেন সাকিব : বিসিবি সভাপতি পাপনের আল্টিমেটামের পর বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে চিঠি

পরের সংবাদ

ট্র্যাম্পের বাসায় তল্লাশি : নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে জল্পনা

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাসায় গত সোমবার অভিযান চালায়। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্ব›িদ্বতার জন্য ট্রাম্প প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ অবস্থায় এফবিআইয়ের তল্লাশি অভিযানের আইনি গুরুত্ব কতটুকু, এ ব্যাপারে সিএনএন বলেছে, তল্লাশি অভিযানের বিচারিক অনুমোদন পেতে তদন্তকারীদের বিচারকের কাছে একটি বিস্তারিত হলফনামা উপস্থাপন করতে হয়েছে, যাতে এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে যে ট্রাম্প অপরাধ করেছেন। তবে এফবিআই কিসের খোঁজে তদন্তে নেমেছে, কেন নেমেছে, তা এখনো অজ্ঞাত।
প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ের কিছু নথিপত্র এদিক-সেদিক করা নিয়ে চলমান তদন্তে এ ঘটনার মোড় ঘুরানো হয়েছে। বড় ধরনের পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে এ তল্লাশিকে। হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় নিয়ম ভেঙে সরকারি নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ট্রাম্পের আইনি ঝুঁকি অনেক দূর গড়ায় কিনা, সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আইনবিশেষজ্ঞরা সিএনএনকে বলেন, তল্লাশি অভিযান চালাতে পরোয়ানা অনুমোদনে ম্যাজিস্ট্রেট জজের কাছে প্রসিকিউটরদের আবেদনের আগে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তদন্তকারীদের সম্মতি আদায় করতে হয়। তল্লাশির আগে ট্রাম্পের আইনি বিপদ নিয়ে জনগণের মধ্যে গুঞ্জন ছিল মূলত প্রেসিডেনশিয়াল রেকর্ডস অ্যাক্ট ঘিরে। হোয়াইট হাউসে থাকার সময় ট্রাম্পের নথিপত্র ব্যবস্থাপনা নিয়ে তদন্তের সময় এ আইন সামনে আসে। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পর এ আইন পাস হয়। এতে পরিষ্কার বলা আছে, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনে সময় সুনির্দিষ্ট কিছু নথির মালিকানা চূড়ান্ত পর্যায়ে জনগণের, বিদায়ী প্রেসিডেন্টের নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নথিপত্র ধ্বংস করা বা সরিয়ে নেওয়া, অতি গোপনীয় নথির অপব্যবহার ফৌজদারি অপরাধ। এফবিআইয়ের অভিযান নিয়ে ট্রাম্পের আইনজীবীরা কতটা সতর্ক ছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি। এফবিআই যেভাবে তল্লাশি কাজটা চালিয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করে ট্রাম্প আগ বাড়িয়ে আইনি পদক্ষেপও নিতে পারেন। এদিকে রেকর্ডস আইন লঙ্ঘন করলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন কিনা, সে বিষয় সামনে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে অন্য একটি আইন আছে, যা এফবিআইয়ের তল্লাশির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। সেটি হলো সরকারি নথিপত্র ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা, সরিয়ে ফেলা কিংবা নষ্ট করা। এ আইনে শাস্তি হিসেবে ‘যুক্তরাষ্ট্রের অধীন কোনো দপ্তরে দায়িত্ব পালনে’ অযোগ্য ঘোষণার কথা বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়