কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেতিবাচক রাজনীতি ও নির্বাচন বিমুখতার জন্য রাজনীতি থেকে বিএনপির এখন বিদায় নেয়ার সময় এসেছে। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য ও মিথ্যা-অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি দেন কাদের।
‘আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় নেয়ার সময় এসেছে’-বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ব্যর্থতা বাংলাদেশকে চরম অনিশ্চয়তা ও দুরবস্থার মুখে ঠেলে দিয়েছিল। তারা সরকার পরিচালনায় যেমন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, বিরোধী দল হিসেবেও চরম দায়িত্বহীনতার নজির স্থাপন করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নয় বরং নেতিবাচক রাজনীতি ও নির্বাচন বিমুখতার জন্য রাজনীতি থেকে তাদেরই বিদায় নেয়ার সময় এসেছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত একটি সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য শুধু সংবিধান পরিপন্থিই নয়, গণতন্ত্রের নীতিবহির্ভূতও বটে। যা গণতন্ত্রের প্রতি হুমকিস্বরূপ। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিদিনই বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনসমূহ মিটিং-মিছিল সভা-সমাবেশ করছে। অথচ তারা অভিযোগ করছে তাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না; রাজনৈতিক অধিকার থেকে না কি বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, নিজেদের ব্যর্থতা ও নানা অপকর্মের দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করা বিএনপির চিরাচরিত অভ্যাস। মিথ্যার মোড়কে লুকায়িত তাদের অগণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বরূপ জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট। তাদের শাসন আমলেই তো দেশ মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছিল। ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। কারণ, গত চার দশক শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাঙালি জাতি সব সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ জয় করতে সক্ষম হয়েছে। এদেশের জনগণের সব স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। এ দেশের যা কিছু মহৎ অর্জন এবং সংকট জয়ের সাফল্য তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা ভরসা ও বিশ্বাস।