যাকাত তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ : সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেছাল

আগের সংবাদ

বিসিবির ধমকে পিছু হটলেন সাকিব : বিসিবি সভাপতি পাপনের আল্টিমেটামের পর বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে চিঠি

পরের সংবাদ

আমদানি ব্যয়ের পাশাপাশি কমেছে এলসি নিষ্পত্তিও

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশে রপ্তানি থেকে আমদানি বেশি হওয়ায় ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। যা সরাসরি গিয়ে আঘাত করছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিলাসী পণ্য আনায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর সুফলও মিলছে। গেল জুলাই মাসে আমদানি ব্যয় কমেছে ৩১ শতাংশ। আর সংকোচন নীতিতে এক মাসের ব্যবধানে ১১৭ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, গত এপ্রিল থেকেই আমদানি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন গভর্নর যোগ দেয়ার পরও তা অব্যাহত রেখেছে। এতে জুলাইয়ে ব্যয় কমেছে ৩১ শতাংশ। আর এলসি নিষ্পতির (এলসি স্যাটেলমেন্ট) পরিমাণও কমেছে। যেটাকে সফলতা হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছর জুলাই মাসে এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছে ৬৫৮ কোটি ডলার। যা তার আগের এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছিল ৭৭৫ কোটি ডলার। এর ফলে জুলাইয়ের তুলনায় জুনে ১১৭ কোটি ডলার এলসি নিষ্পত্তি কমেছে। যা শতকরা হিসেবে ৯.২৩ শতাংশ। অন্যদিকে জুলাই মাসে ৫৫৫ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আর তার আগের মাস জুনে এলসি খোলা হয়েছিল ৭৯৬ কোটি ডলারের। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এলসি খোলা কমেছে ৩০.২০ শতাংশ। আর চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৮৫ কোটি ডলারের। ফেব্রুয়ারিতে নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৫৫ কোটি, মার্চে ৭৬৭, এপ্রিলে ৬৯৩ কোটি, মে মাসে ৭২৫ কোটি, জুনে ৭৭৫ কোটি এবং জুলাই মাসে নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৫৮ কোটি ডলার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ৪.২৬ শতাংশ তবে মার্চ মাসে তা বেড়েছে ১২.২ শতাংশ, এপ্রিলে ৫.৬৬ শতাংশ বেড়েছে, মে মাসে কমেছে ৫.৫৩ শতাংশ, জুনে বেড়েছে ১১.৮৮ শতাংশ, আর জুলাইতে কমেছে ৯.২৩ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবার্হী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন গভর্নর যোগ দেয়ার পর নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে আমদানি ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ৩ মিলিয়ন বা ৩০ লাখ ডলারের ওপরে হেয়ে ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জানাতে হবে। এছাড়া বিলাসবহুল পণ্যের এলসি মার্জিন শতভাগ করা হয়েছে। আবার কোনো অনিয়ম দেখা পেলে তা আটকিয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে এলসি নিষ্পত্তি কমে এসেছে।
এর আগে দেশে রপ্তানি থেকে আমদানি বেশি হওয়ায় ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। যা সরাসরি গিয়ে আঘাত করছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। এমন পরিস্থিতিতে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিলাসী পণ্য আনায় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর সুফলও মিলছে।
আমদানি ব্যয় সংকোচন নীতিতে এক মাসের ব্যবধানে ১১৭ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, জুলাই মাসে আমদানি হয়েছে ৫৪৭ কোটি ডলারের পণ্য, যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় তিন ভাগের একভাগ কম। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে নতুন এলসি খোলা হয়েছিল ৭৯৬ কোটি ডলারের।
আর চলতি বছর জুলাই মাসে এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছে ৬৫৮ কোটি ডলার। যা তার আগের এলসি নিষ্পত্তি করা হয়েছিল ৭৭৫ কোটি ডলার। এর ফলে জুলাইয়ের তুলনায় জুনে ১১৭ কোটি ডলার এলসি নিষ্পত্তি কমেছে। যা শতকরা হিসেবে ৯.২৩ শতাংশ। অন্যদিকে জুলাই মাসে ৫৫৫ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আর তার আগের মাস জুনে এলসি খোলা হয়েছিল ৭৯৬ কোটি ডলারের। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এলসি খোলা কমেছে ৩০.২০ শতাংশ। আর চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৮৫ কোটি ডলারের। ফেব্রুয়ারিতে নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৫৫ কোটি, মার্চে ৭৬৭, এপ্রিলে ৬৯৩ কোটি, মে মাসে ৭২৫ কোটি, জুনে ৭৭৫ কোটি এবং জুলাই মাসে নিষ্পত্তি হয়েছে ৬৫৮ কোটি ডলার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ৪.২৬ শতাংশ তবে মার্চ মাসে তা বেড়েছে ১২.২ শতাংশ, এপ্রিলে ৫.৬৬ শতাংশ বেড়েছে, মে মাসে কমেছে ৫.৫৩ শতাংশ, জুনে বেড়েছে ১১.৮৮ শতাংশ, আর জুলাইতে কমেছে ৯.২৩ শতাংশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়