ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার : জবি ছাত্রীর সেই মোবাইল ফোন উদ্ধার

আগের সংবাদ

ফের অস্থির চালের বাজার

পরের সংবাদ

জাওয়াহিরির পর কে হচ্ছেন আল কায়েদা প্রধান

প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি। ফলে এখন কার্যত নেতৃত্বশূন্য জঙ্গি সংগঠনটি। প্রশ্ন উঠেছে, জাওয়াহিরির পর কে হচ্ছেন আল কায়েদার নতুন প্রধান। এরই মধ্যে একাধিক নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের একজন হলেন আল কায়েদার সিনিয়র নেতা সাইফ আল আদেল। জাওয়াহিরির পর তিনিই গোষ্ঠীটির নতুন প্রধান হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে এনডিটিভি।
ওসামা বিন লাদেনের জীবদ্দশায় জাওয়াহিরি ছিলেন সংগঠনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ২০১১ সালে লাদেন নিহত হওয়ার পর মিসরীয় শল্যচিকিৎসক জাওয়াহিরিকে দেয়া হয় সংগঠনের দায়িত্ব। তার মৃত্যুর পর আল-কায়েদার প্রধান হিসাবে প্রথমেই উঠে আসছে আদেলের নাম।
মিসরীয় সেনাবাহিনীর এক সময়ের সেনা কমান্ডার আদেল বর্তমানে আল কায়েদার শীর্ষ ক্ষমতাধর ব্যক্তি। আদেল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসী তালিকাতেও রয়েছেন। ১৯৬০ বা ১৯৬৩ সালের ১১ এপ্রিলে তার জন্ম বলে উল্লেখ করা হয়েছে এফবিআই’র ওয়েবসাইটে। এদিকে আদেলকে আটকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে ১ কোটি ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তানজানিয়া ও কেনিয়ায় ১৯৯৮ সালে মার্কিন দূতাবাসে হামলায় সম্পৃক্ততার জন্য তাকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। একসঙ্গে চালানো ওই হামলার ঘটনায় ১২ মার্কিন নাগরিকসহ ২২৪ জন নিহত হন।
মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, ১৯৮৪ সালে আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েতবিরোধী যুদ্ধের জন্য তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে ওসামা বিন লাদেন, আয়মান আল জাওয়াহিরি, সাইফ আল আদেল ও অন্যরা মিলে মাকতাব আল খিদামাহ নামে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যা পরবর্তী সময়ে আল কায়েদা নামকরণ করা হয়। ১৯৮০-এর দশকেই আল কায়দার মিসরীয় শাখা ইজিপশিয়ান ইসলামিক জিহাদে যোগ দেন আদেল। আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধেও লড়াই করেন তিনি। আদেল মূলত একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন।
এরপর ১৯৯০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেন। ১৯৯৮ সালে তানজানিয়ার দারুস সালাম ও কেনিয়ার নাইরোবিতে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালান আদেল। একই সময়ে সোমালিয়ার মোগাদিসুতে মার্কিন বাহিনী ও হেলিকপ্টার ধ্বংসে নেতৃত্বে দেন। মূলত তখন থেকেই তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ওয়াশিংটন।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর কাউন্টার টেররিজমের (আইসিসিটি) জ্যেষ্ঠ ফেলো এবং সংস্থাটির সিরিয়া ও সন্ত্রাসবাদ-উগ্রবাদ কর্মসূচির পরিচালক চার্লস লিস্টারের মতে, সাইফ আল আদেল ইরানে অবস্থান করছেন বলে মনে করা হচ্ছে যা সব হিসাব নিকাশে গোল পাকিয়েছে।
একজন জ্যেষ্ঠ সন্ত্রাসবাদ দমন বিশ্লেষক সিএনএনকে বলেন, যদি সাইফ আল আদেলকে শেষ পর্যন্ত জাওয়াহিরির উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নেয়া হয়, তাহলে ইরানকেও তাকে বহিস্কার করা কিংবা আশ্রয় দেয়ার মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে। তবে আফগানি নেটওয়ার্কের এক সাবেক কর্মকর্তা বলেছেন, সাইফ আল আদেল ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের উদ্দেশে ইরান ছেড়েছেন এমনটা শুনেছেন বলে নেটওয়ার্ককে জানিয়েছেন।
কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, জাওয়াহিরির জামাতা আবদ আল রহমান আল মাগরিবিকেও আল কায়েদার নতুন নেতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। বর্তমানে তিনি সন্ত্রাসী চক্রটির গণমাধ্যম কমিটির নেতৃত্বে আছেন। এছাড়া আল কায়েদার নেতৃত্বের দৌড়ে সম্ভাব্য ‘ডার্ক হর্স’ প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মিসরীয় অপারেশনাল কমান্ডার আবু ইখলাস আল মাসরি অথবা আমিন মুহাম্মদ উল হক সাম খান। আইসিসিটির মতে, এর আগে আমিন মুহাম্মদ বিন লাদেনের নিরাপত্তা সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়