কাগজ প্রতিবেদক : নতুন অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে দলমতনির্বিশেষে সবাইকে সমন্বিত প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘এ দেশের আপামর জনগণের স্বপ্ন হচ্ছে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। তাদের সে প্রত্যাশা পূরণ আমাদেরই করতে হবে। সংসদ সদস্যরা একটি দলের মনোনয়নে নির্বাচিত হলেও জনপ্রতিনিধি হিসেবে দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে এ গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনে সমাপনী ভাষণে স্পিকার এ আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, আমরা জানি জাতীয় সংসদ সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। যে কোনো বিষয় আলোচনার স্থান এই জাতীয় সংসদ।
সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুসরণ করে সংসদে যে কোনো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। সরকারি দল ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে তাতে দেশ ও জাতি উপকৃত হয়। সংসদ পরিচালনায় সংসদ-সদস্যদের সহযোগিতা একান্ত অপরিহার্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য সাহস, সততা ও দৃঢ় প্রত্যয়ের প্রতীক হচ্ছে পদ্মা সেতু। গত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ইতিহাসে বহু কাক্সিক্ষত সর্ববৃহৎ বহুমুখী অবকাঠামো প্রকল্প ‘পদ্মা সেতু’ উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার তিন কোটির অধিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দুর্নীতি চেষ্টার ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংকের মুখ ফিরিয়ে নেয়াসহ নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে আত্মমর্যাদার প্রতীক হয়ে সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ইতিহাসের দীর্ঘতম সেতু। পদ্মা সেতু নির্মাণ বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির এক সোনালি অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
স্পিকার বলেন, এ অধিবেশনে জীবনজীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সব বৈষম্য দূর করে টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপি বর্তমান সরকারের তৃতীয় বাজেট পেশ করেছেন। বাজেটে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের প্রতিফলন ঘটেছে।
শিরীন শারমিন বলেন, এবারের বাজেট অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ২০টি। সম্পূরক বাজেটসহ মোট বাজেটের আলোচনায় ২২৮ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন এবং মোট ৩৮ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট আলোচনা হয়। বাজেট পাস ছাড়াও এ অধিবেশনে ৪টি বিল পাস হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেয়ার জন্য সর্বমোট ৮১টি প্রশ্ন পাওয়া যায়, তার মধ্যে তিনি ৪১টি প্রশ্নের উত্তর দেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উত্তরদানের জন্য প্রাপ্ত মোট এক হাজার ৬৪৫টি প্রশ্নের মধ্যে মন্ত্রীরা এক হাজার ৩১১টি প্রশ্নের জবাব দেন। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে বিবৃতি দেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।