করোনার ভুয়া রিপোর্ট : সাবরিনা-আরিফসহ আটজনের মামলার রায় ১৯ জুলাই

আগের সংবাদ

মসলার বাজারে ঈদের আঁচ : খুচরা বাজারে দামের উল্লম্ফন, ডলার সংকট ও এলসি জটিলতার অজুহাত

পরের সংবাদ

অনিয়মের অভিযোগ : সাতক্ষীরায় প্রণোদনার টাকা পাননি মৎস্য চাষিরা

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাবস্ক্রাইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের অধীনে সাতক্ষীরার চার উপজেলায় মৎস্য চাষিদের মাঝে টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরার তালা, শ্যামনগর, কালীগঞ্জ ও দেবঘাটা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া প্রায় সাড়ে ৬০০ জন মৎস্য চাষির তালিকা থেকে গতকাল মুঠোফোনে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা এমন অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, তাদের ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি না হলেও তারা কোনো টাকা পাননি। তালিকায় তাদের নাম উঠলেও তাদের ফোনে টাকা পৌঁছেনি।
দেবহাটা উপজেলার চর গ্রামের সাফিয়া আক্তার মিরার স্বামী মসজিদুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, তার গ্রামের মেম্বারের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ও ছবি নিয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো টাকা পয়সা পাননি। একই কাণ্ড ঘটেছে কার্তিক চন্দ্র সরকার ও চায়না খাতুনের কপালেও। তাদের অভিযোগ তারা কোনো টাকা পাননি। অন্যদিকে দেখা গেছে, একই গ্রামের সবাই টাকা পেয়েছেন কিন্তু তালিকায় নাম থাকলেও পাশের গ্রামের কেউ কোনো টাকা পাননি।
কালিগঞ্জ উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের মৎস্য চাষি আবু মুসা, নুর আলম, প্রশান্ত সরকার, রবীন্দ্রনাথ মৃধা, শ্রীকান্ত, গিয়াস উদ্দিন ছাড়াও নারায়ণপুরের রবিউল মিন্টু ও আবু সিদ্দিক টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেন।
এই উপজেলার মৎস্য চাষি মিন্টু সরকার জানান, তার গ্রামে যারা প্রকৃত মৎস্য চাষি তাদের অনেকেই টাকা পেলেও পরিমাণে কম পেয়েছেন। ?তিনি অন্যদের সঙ্গে টাকা পাওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড দিয়েছিলেন কিন্তু টাকা পাননি। শ্যামনগর উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার যাওয়াখালী গ্রামের ৪ মৎস্য চাষির নাম তালিকায় এলেও তারা কেউ টাকা পাননি। বেতাগী গ্রামের বাসিন্দা নিরঞ্জন হালদার জানান তার গ্রামের মেম্বার তার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ও ফটোকপি নিয়েছিল। তার মতো আসলাম হোসেনও কাগজপত্র জমা দেন কিন্তু টাকা পাননি। অন্যদিকে তাদের গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর নামে এক ব্যক্তি যিনি বর্তমানে ঢাকা থাকলেও তাকে সেখানকার মৎস্য চাষি দেখিয়ে টাকা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রিত। এ কারণে প্রকৃত মৎস্য চাষিরা টাকা পেয়েছেন কিনা বিষয়টি যাচাই করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তারা এও জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে টাকা পাঠানোর আগে তালিকা থেকে ব্যক্তিদের নাম মোবাইল নাম্বার যাচাই করা হয়েছে। তারপর সেই টাকা পাঠানো হয়। এরপরও কেউ টাকা না পেলে অভিযোগ দিতে পারতেন। কিন্তু কেউ এমন অভিযোগ করেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়