মুম্বাইয়ে ভবনধসে নিহত ১৯

আগের সংবাদ

বানভাসিদের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

পরের সংবাদ

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ পেছাল

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারীরা দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। ফলে সব সেক্টরে তাদের এগিয়ে যাওয়া জাতির এগিয়ে যাওয়ারই নামান্তর। পুরুষদের পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনেও নারীরা সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ফুটবলে বিভিন্ন বয়সভিতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর বাংলার মেয়েরা আরো বেশকটি শিরোপা ঘরে তুলেছে। এবার আসন্ন সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট ঘিরে ইতোমধ্যে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের সঙ্গে ছক কষতে শুরু করেছেন সাবিনা খাতুনরা। আগামী ১২ আগস্ট থেকে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার কথা ছিল। নেপালের পোখরা ছিল সম্ভাব্য ভেন্যু। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তা হচ্ছে না। এই টুর্নামেন্ট পিছিয়ে আগস্টের শেষে কিংবা সেপ্টেম্বরের শুরুতে হবে। কারণ নেপাল ফুটবল এসোসিয়েশনে নতুন কমিটি এসেছে। তাই একটু সময় নিয়ে সাফের ষষ্ঠ টুর্নামেন্টটি করতে চাইছে স্বাগতিকরা। এই বিষয় সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ পিছিয়ে যাচ্ছে। আপাতত নির্দিষ্ট সময়ে হচ্ছে না। শিগগিরই নতুন সময় ঠিক হবে। নেপালে নতুন কমিটি এসেছে। তাই সময় নিয়ে আয়োজন করতে চাইছে। এদিকে ৬ দল নিয়ে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ রাজধানী কাঠমান্ডুতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ থাকায় পাকিস্তান থাকছে না। আগের ৫টি টুর্নামেন্টেই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৬ সালে একবারই রানার্সআপ হয়েছিল। আর গতবার সেমিফাইনাল থেকে নিয়েছিল বিদায়। এবার সাবিনারা রয়েছে ভালো ফর্মে। তাই আরো ভালো করার লক্ষ্য। বাংলাদেশে এমনিতেই খেলাধুলায় মেয়েদের অংশগ্রহণ অনেক কম, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফুটবলে মেয়েদের আগ্রহ বাড়ছে এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। দেশের ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলকে চাঙ্গা করতে যথেষ্ট চেষ্টা করছে বাফুফে। সম্প্রতি দেশে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দুরন্ত গতিতে খেলেছেন মারিয়া-সাবিনারা। গত বছর সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবলের ফাইনালে ১-০ গোলে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাবিনারা। তাদের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দেশের ক্রীড়াপ্রেমীরা। সাবিনা, মারিয়াদের দুর্দান্ত শট দেখে ভক্তদের নয়ন জুড়িয়ে গেছে। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ৭৯ মিনিটে আনাই মগিনি এগিয়ে দেন বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত এই এক গোলই বাংলাদেশের শিরোপা নির্ধারণ করে দেয়। ভারতীয় মেয়েদের কাছ থেকে বারবার বল কেড়ে নিলেও শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা মিলছিল না বাংলাদেশের। জাতীয় দলের সঙ্গে মুখোমুখিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েরা কখনোই জেতেনি। কিন্তু বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশের চেহারা ভিন্নœ।
এই ম্যাচের আগে ৯ বার বিভিন্ন বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় ভারতের মুখোমুখি হয়ে পাঁচবারই জিতেছে বাংলাদেশ। গত বছরের ডিসেম্বরে ঢাকায় হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ওই টুর্নামেন্টেও চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়