কাগজ ডেস্ক : পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, ৩০ সদস্য রাষ্ট্রের জোটটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বৃহত্তম সংকট মোকাবিলা করছে। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ জোটের জন্য একটি সরাসরি হুমকি। গতকাল বুধবার স্পেনের মাদ্রিদে জোটের সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়।
স্পেনে ন্যাটো সম্মেলনে ৩০ দেশের নেতারা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ মোকাবিলায় নতুন কৌশলগত ফ্রেমওয়ার্কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। একই সঙ্গে তারা চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলার পথ নিয়েও আলোচনা করবেন। এই সম্মেলনের আগেই ঘোষণা দেয়া হয় জোটের সেনা সংখ্যা বাড়ানো হবে। পূর্ব ইউরোপে জোটের উপস্থিতি শক্তিশালী ও হাই রেডিনেস ফোর্সে সেনা সংখ্যা ৩ লাখ করা হবে। স্টোলটেনবার্গ জানান, মাদ্রিদের সম্মেলন হবে নিরাপত্তা জোটের জন্য ঐতিহাসিক ও রূপান্তরধর্মী। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে গুরুতর নিরাপত্তা সংকট যখন আমরা মোকাবিলা করছি তখন এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মহাসচিব বলেন, জোটের নেতারা আমাদের নিরাপত্তার জন্য রাশিয়া যে সরাসরি হুমকি তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন। তিনি আরো বলেন, চীন ন্যাটোর শত্রæর নয়।
কিন্তু আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের স্বার্থ ও আমাদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
সম্মেলনে যোগ দিতে মাদ্রিদে বাইডেন : পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের মধ্যেই এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। প্রতিবেদনে বলা হয়, জোটের পূর্ব প্রান্তে ন্যাটো বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করার একটি ঘোষণা দেয়ার পরিকল্পনা করছেন বাইডেন। কেননা, এখনো পর্যন্ত যুদ্ধের গতি ধীর হয়ে আসার কোনো লক্ষণ যাচ্ছে না। এর আগে গত মঙ্গলবার বাইডেন বলেন, স্পেনের রোটা নেভাল স্টেশনে দুটি অতিরিক্ত ডেস্ট্রয়ার পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক উপস্থিতি জোরদার করতেই এগুলো পাঠানো হচ্ছে।