সেন্ট লুসিয়ায় ধীরে এগুগোচ্ছে উইন্ডিজ

আগের সংবাদ

বিধ্বস্ত শহরে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা : আদালতের নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ > অফিসপাড়া নিথর > বন্ধ হাসন রাজা মিউজিয়াম > পথে পথে ক্ষতচিহ্ন

পরের সংবাদ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : ডোপ টেস্টে ভর্তি হবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন তৈরি করা হচ্ছে। আইনানুযায়ী শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হবে। তাদের ভর্তির সময় মেডিকেল টেস্ট করতে হবে। তার মধ্যেই এ ডোপ টেস্ট থাকবে।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। মন্ত্রী জানান, গত বছর সারাদেশে ইয়াবা, হেরোইন, গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এসব ঘটনায় মামলা হয় মোট ২০ হাজার ৫৯২টি। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইস নামে একটি ভয়ংকর মাদক মিয়ানমার থেকে এসেছে। আমরা দেশটির সংশ্লিষ্টদের বহু অনুরোধ করেছি, তারা অনেক কথা বলেন, কিন্তু কোনোটাই তারা কার্যকর করেন না। রোহিঙ্গারা ফাঁকফোকর দিয়ে ইয়াবা আনার চেষ্টা করছেন। তবে মাদক কারবারের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক, অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাদকবিরোধী কার্যক্রমে সক্ষমতাও বাড়ানো হচ্ছে।
১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত হয়ে আসছে বিশ্বব্যাপী। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য মাদকসেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি। মাদকের অপব্যবহার রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং মাদকাসক্তির চিকিৎসার বিষয়ে সবাইকে অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করাই এ দিবস পালনের লক্ষ্য।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ওই অনুষ্ঠানেও মন্ত্রী ডোপ টেস্টের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান রয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৭-৮ মিলিয়ন মাদকাসক্ত রয়েছে। কারো কারো পরিসংখ্যানে আরো বেশি। মোট মাদকাসক্তের মধ্যে ৪৮ শতাংশ শিক্ষিত। জেলখানায় যত মানুষ আছে এর বেশির ভাগই মাদক পাচারকারী কিংবা কারবারি। এটা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাদকসেবীদের ৮০ শতাংশই যুবক। প্রধানমন্ত্রী সে কারণেই মাদকে শূন্য সহিষ্ণু নীতি ঘোষণা করেছিলেন। সেই অনুসারেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমরা সবাই কাজ করে যাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়