সেন্ট লুসিয়ায় ধীরে এগুগোচ্ছে উইন্ডিজ

আগের সংবাদ

বিধ্বস্ত শহরে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা : আদালতের নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ > অফিসপাড়া নিথর > বন্ধ হাসন রাজা মিউজিয়াম > পথে পথে ক্ষতচিহ্ন

পরের সংবাদ

সংসদে বিরোধী দল : পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার যে প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী করেছেন তা সংবিধানবিরোধী ও দেশের আইনের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদে এ দাবি জানান বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সদস্যরা। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের আমদানি আয় বাড়ছে। কিন্তু পক্ষান্তরে আমাদের রপ্তানি কিছুটা বাড়লে, যার তারতম্য থাকার ফলে আমাদের মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে, রিজার্ভ কমেছে, ডলারের মান নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান তিনি। বর্তমান সংসদকে মহাজোটের কার্যালয় হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হারুনুর রশীদ বলেন, অর্থমন্ত্রীকে কোষাগার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা যে লোপাট হচ্ছে তা বন্ধ করার আহ্বান জানান। কোষাগার রক্ষা করতে হবে। প্রকল্পের ডিজাইন সঠিক সময়ে হচ্ছে না, ঠিকাদার পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বিদেশে যে অর্থ পাচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনা ঠিক হবে না, এখানে দুদক ধরবে জেলহাজত হবে। তিনি বলেন, বাজেটে আপনি বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে দুদকে মামলা হবে। আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। তিনি আরো বলেন, এবারের বাজেট একটা ব্যাপক ঋণনির্ভর বাজেট। স্বনির্ভর বাজেট থেকে আমরা ঋণনির্ভর বাজেটের ওপর নির্ভর করছি। এটা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল আলম বলেন, ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। রাজস্ব ঘাটতির বিষয়ে বলেন, ৩ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি। তিনি বিদায়ী বছরে কত টাকা ঘাটতি রয়েছে এনবিআর থেকে তা জানতে চান। তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলসহ সব নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়েছে, তিনি কীভাবে সামলাবেন। তার ওপরে বাড়তি চাপ ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া, বৈদেশিক আয় কমেছে। টাকা পাচার হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা পাচার বা বিদেশি ব্যাংকে রাখেন তাহলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রাখব তা কেউ জানতে পারবে না। সে টাকা ফেরত আনা কিন্তু খুব কঠিন। তিনি মনে করেন, এসবের মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সুখী।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আর্থিক খাতের লুটপাট কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না। আর্থিক খাত দেখলে মনে হয় টাকা চুরি দেখার কেউ নেই। টাকা পাচার হচ্ছে, আমাদের দেশের বহু টাকা যা পাচার হওয়ার হয়ে গেছে, তা অনৈতিক। টাকা যেটা যায় সেটা বাইরে থেকে আনা কঠিন। তার পরেও যদি ফেরত আনা যায় তাকে সমর্থন করি। যদি আনে ৭ শতাংশ না ১২ শতাংশ দিয়ে আনুক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়