সেন্ট লুসিয়ায় ধীরে এগুগোচ্ছে উইন্ডিজ

আগের সংবাদ

বিধ্বস্ত শহরে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা : আদালতের নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ > অফিসপাড়া নিথর > বন্ধ হাসন রাজা মিউজিয়াম > পথে পথে ক্ষতচিহ্ন

পরের সংবাদ

মেহেরপুরের হিমসাগর ও ল্যাংড়া যাচ্ছে ইউরোপের ৬ দেশে

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মর্তুজা ফারুক রুপক, মেহেরপুর থেকে : দীর্ঘ চার বছর পর আবারো শুরু হয়েছে মেহেরপুর থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানি। ফ্রান্স, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্যসহ ৬টি দেশে যাচ্ছে মেহেরপুরের হিমসাগর ও ল্যাংড়া। এর আগে প্রথম ২০১৮ সালে মেহেরপুরের হিমসাগর ইউরোপে বেশ সুনাম কুড়িয়েছিল। এরপর থেকে বেশ কিছু রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিশেষ প্যাকেটে ছোট থেকেই আলাদাভাবে যতœ নিয়ে ইউরোপে হিমসাগর আম পাঠানো শুরু করে।
করোনা মহামারি ও যথাযথ উদ্যোগের অভাবের কারণে গত ২০১৮-২০২১ সাল পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ ছিল। চলতি মৌসুমে আবারো শুরু হয়েছে ইউরোপে আম রপ্তানি। ইতোমধ্যে এসআর এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে প্রায় ৮ টন হিমসাগর আম পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কৃষি বিভাগ। এছাড়া ল্যাংড়া আম পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। যদিও মেহেরপুরে চলতি মৌসুমে আমের তেমন একটি ফলন হয়নি। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ইউরোপে খুব একটা বেশি আম রপ্তানি সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। প্রতি মণ আমে ২ হাজার ৬০০ টাকা মূল্য পেয়েছে আমচাষিরা। এতে একদিকে যেমন অধিক মুনাফা পাচ্ছেন চাষিরা, অন্যদিকে হিমসাগর আমের সুনাম ছড়াচ্ছে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ইউরোপেও।
সদর উপজেলার চাদবিল গ্রামের আমচাষি ফিরোজ শেখ বলেন, চলতি বছর তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে মেহেরপুরে আমের ফলন কম। তারপরও মেহেরপুর থেকে আম বিদেশে রপ্তানির কারণে বাগানিরা দাম ভালো পাচ্ছেন। আমরা ভালো মানের হিমসাগর আম বাছাই করে প্যাকিংয়ের মাধ্যামে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করছি।
আম ব্যবসায়ী শফিক বলেন, আমাদের বাগান থেকে এ পর্যন্ত ৩ টন হিমসাগর আম বিক্রি করেছে যা ইউরোপে রপ্তানি হবে। এ বছর আমের ফলন কম হলেও ভালো দামে আম বিক্রি করতে পেরে আমরা ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গেছি। তবে আম চাষে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পেলে আগামী বছর বাগানিরা আরো লাভবান হবে।
এ ব্যাপারে এসআর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শাহাবুদ্দিন বলেন, মেহেরপুর থেকে এর আগেও আমরা বিদেশে আম রপ্তানি করেছি। এবার আমরা ব্যাপকভাবে মেহেরপুর থেকে আম রপ্তানি করার চেষ্টা করছি। কিন্তু ফলন কম হওয়ায় সম্ভব হচ্ছে না। এখানে আমের মান ভালো ও খুবই সুস্বাদু। কিছু কৃষক ও বাগান মালিককে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এ নিয়ে মেহেরপুর কৃষি অফিস আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা ভালো দাম দিয়ে আম নিচ্ছি।
এতে কৃষক ও বাগানিরা লাভবান হচ্ছে। আশা করি, সামনে আমাদের সঙ্গে অনেক বাগানি ও কৃষকরা যুক্ত হবে এবং বিদেশে রপ্তানি করার জন্য আরো উৎসাহিত হবে। আমরা সব সময় তাদের সহযোগিতা করব। এখান থেকে আম গ্রেডিং করে নেয়া হয়। এরপর আবার সেন্ট্রাল থেকে গ্রেডিং করে তারপর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসরিন পারভিন ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে মেহেরপুরের আমের গুনাগুন ও মান তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাতে প্রতিষ্ঠানটি আগ্রহ দেখিয়েছে। চলতি মৌসুমে ৮ টন আম দেয়া হয়েছে। আগামী বছর আরো বেশি আম ইউরোপে রপ্তানি করতে পারব বলে আশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়