সেন্ট লুসিয়ায় ধীরে এগুগোচ্ছে উইন্ডিজ

আগের সংবাদ

বিধ্বস্ত শহরে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা : আদালতের নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ > অফিসপাড়া নিথর > বন্ধ হাসন রাজা মিউজিয়াম > পথে পথে ক্ষতচিহ্ন

পরের সংবাদ

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : দেশের নেতৃত্ব দিতে নিজেরা তৈরি হও

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের জন্য এখন থেকে নিজেকে তৈরি করতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের সোনার ছেলে-মেয়েরা তোমরা তৈরি হও, আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দিতে। সর্বক্ষেত্রেই তোমরা তোমাদের মেধার বিকাশ ঘটাবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যেন বাংলাদেশ আর পিছিয়ে না থাকে। বাংলাদেশ এগিয়ে যায়।
‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ ২০২২’ প্রতিযোগিতায় গতকাল রবিবার সেরাদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের মূল প্রান্ত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।
গবেষণার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেধা অন্বেষণকারী আমাদের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নব নব সৃষ্টির চিন্তাচেতনা দিয়ে আগামী দিনের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কাজেই বিজ্ঞান শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রাণিসম্পদের ওপর গবেষণায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আসলে গবেষণাই তো পারে আমাদেরকে পথ দেখাতে।
নতুন প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নেবে। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেধা অন্বেষণ একটা চমৎকার ব্যবস্থা। এ থেকে অনেক সুপ্ত জ্ঞান বেরিয়ে আসতে পারে। যা আমাদের দেশের আগামী দিনের উন্নয়নে কাজে লাগবে। আমি বলব, আমাদের সোনার ছেলে-মেয়েরা, আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে তোমরা তৈরি হও। সর্বক্ষেত্রে তোমরা তোমাদের মেধা বিকাশ করবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। যেন বাংলাদেশ আর পিছিয়ে না থাকে। বাংলাদেশ যেন এগিয়ে যায়।
শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আজকের শিশুরাই ২০৪১ সালের কর্ণধার। এখানেই থেমে থাকলে হবে না। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ আমরা উদযাপন করব। ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান করে দিয়ে গেলাম। বাংলাদেশের প্রজন্মের পর প্রজন্মের জন্য ‘সুন্দর জীবন নিশ্চিতে’ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করি, আমাদের আজকের শিশুরা ভবিষ্যতে এদেশের কর্ণধার হবে। তারাই আমার মতো প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে, শিক্ষক হবে। বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে দেশের উন্নতি করবে।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী

জাতি। আজকের শিশু ও নতুন প্রজন্মকে বলব, আমাদের মাথায় এটা সবসময় রাখতে হবে যে, আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলব। সম্মানের সঙ্গে চলব। আর এই দেশ আমাদের দেশ। এই দেশকে আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। গৃহহীন, ভূমিহীনদের ভূমি দিচ্ছি। বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি। শিক্ষার সুযোগ তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানের মাধ্যমেই আমরা দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।
তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাও কোনো না কোনো ক্ষেত্রে মেধার পরিচয় দিতে পারে। কাজেই তাদেরকেও আমাদের সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। তারা আমাদেরই সন্তান। আমাদেরই আপনজন। কাজেই সেই কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা এই সমাজেরই একটা অংশ। সে হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। পাশে থেকে তাদের সহযোগিতাও করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বলব, সবাইকে নিয়ে চলো। তবেই আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারব।
পদ্মা সেতু সফলভাবে সম্পন্ন করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন কুয়েত রাষ্ট্রদূতের : এর আগে গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গণভবনে আসেন কুয়েতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ এ এইচ হায়াত। সাক্ষাৎকালে তিনি পদ্মা সেতু সফলভাবে সম্পন্ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনে বাংলাদেশের সব মানুষ আনন্দিত। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, জমি ও ঘর দান করা। যাতে প্রত্যেক নাগরিকের নিজস্ব ঘর থাকে। কুয়েত সরকার বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে আরো দক্ষ ও আধা-দক্ষ জনবল নিয়োগের আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় ক্ষেত্রে কুয়েতের প্রতি তার সরকারের সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়