সেন্ট লুসিয়ায় ধীরে এগুগোচ্ছে উইন্ডিজ

আগের সংবাদ

বিধ্বস্ত শহরে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা : আদালতের নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ > অফিসপাড়া নিথর > বন্ধ হাসন রাজা মিউজিয়াম > পথে পথে ক্ষতচিহ্ন

পরের সংবাদ

পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনি কোম্পানির ‘সুদিন’

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রবিবার দরপতনের মধ্যে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। এর ফলে টানা ৩ সপ্তাহে এই প্রবণতা দেখা গেল। গতকাল এমন কোনো খাত ছিল না, যেটি দরপতনের মধ্যদিয়ে যায়নি। গত ২ সপ্তাহের মতোই গতকাল দুর্বল বা স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারে উল্লম্ফন দেখা গেছে।
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে কোনোটিই মৌলভিত্তির কোম্পানি নয়। এর মধ্যে ৬টি লোকসানি কোম্পানি, যেগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ গত এক যুগেও লভ্যাংশ দেয়নি।
সবচেয়ে বেশি ১০টি নয়, সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এমন ২০টি কোম্পানির ক্ষেত্রেও দেখা গেছে একই চিত্র।
গতকাল পুঁজিবাজারে ক্রেতা সংকটও দেখা গেছে। ফলে লেনদেন চলাকালে ডিএসইতে ৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয়াদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। দিনের সর্বনি¤œ দামে লেনদেন হয় এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে।
শুরুতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ১৯ পয়েন্ট। আর লেনদেনের ১৬ মিনিটের মাথায় সূচকটি বাড়ে ২৫ পয়েন্ট। লেনদেনের শুরুতে এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও প্রথম ঘণ্টা না যেতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। বেলা ১১টা ১০ মিনিটের পর থেকে শূন্য হতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশের ঘর। ক্রেতা সংকটে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম দিনের সর্বনি¤œ পর্যায়ে চলে যায়। এরপরও অনেক বিনিয়োগকারী দিনের সর্বনি¤œ দামে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিক্রি করতে ব্যর্থ হন।
এমন ক্রেতা সংকট দেখা দেয়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩০টির। আর ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অবশ্য যে হারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে, মূল্যসূচক কমেছে তার চেয়ে কম হারে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০১ পয়েন্টে নেমে গেছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি বাজারটিতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
আগের দিন লেনদেন হয় ৬৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৮৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাইনপুকুর সিরামিক।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৬৪ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬২টির এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অনাগ্রহের শীর্ষে ফাস ফাইন্যান্স : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৩০টির বা ৬০.৩৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফাস ফাইন্যান্সের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আগের কার্যদিবস ফাস ফাইন্যান্সের ক্লোজিং দর ছিল ৫ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪.৯০ টাকায়। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার দর ০.১০ টাকা বা ২ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে ফাস ফাইন্যান্স ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।
এদিন ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিকন ফার্মার ১.৯৯ শতাংশ, পেপার প্রসেসিংয়ের ১.৯৯ শতাংশ, সোনালী পেপারসের ১.৯৯ শতাংশ, এইচআর টেক্সটাইলের ১.৯৮ শতাংশ, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১.৯৮ শতাংশ, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ১.৯৮ শতাংশ, মনোস্পুল পেপারের ১.৯৮ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১.৯৬ শতাংশ এবং এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ১.৯৬ শতাংশ কমেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়