সেন্ট লুসিয়ায় ধীরে এগুগোচ্ছে উইন্ডিজ

আগের সংবাদ

বিধ্বস্ত শহরে ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা : আদালতের নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ > অফিসপাড়া নিথর > বন্ধ হাসন রাজা মিউজিয়াম > পথে পথে ক্ষতচিহ্ন

পরের সংবাদ

‘কেউ পুঁটলা লইয়া আইলে, কইও আমারে দিয়া যাইত’

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক, দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাফিনগরের গাজীয়ারগাঁও নোয়াহাটি এলাকা দিয়ে একটি ত্রাণবাহী নৌকা যাচ্ছে। ওদের ঘাটে তখনো নৌকাটি থামেনি। অন্যঘাটে ত্রাণবাহী নৌকা থামলে বানভাসি আবালবৃদ্ধবণিতা হুমড়ি খেয়ে পড়ে, একমুঠো ত্রাণ নেয়ার আশায়। দূর থেকে কিশোরি মেয়েটিকে দেখে ভিন্ন মনে হলো। ট্রলার থেকে নেমে কাছে যেতেই দেখা গেল, সাজানো ঘরটির বেশিরভাগ অংশ বানের জলে ভেসে গেছে। ঘরদোর একেবারে শূন্য। সেই শূন্য ঘরে বাঁশের খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোরি মেয়েটির আকুতি, ‘তোমরার লাখান আরো কেউ পুঁটলা (ত্রাণের প্যাকেট) লইয়া আইলে কইও আমারে দিয়া যাইতো।’
আরেকটু সামনে গিয়ে দেখা গেল, নৌকার ওপর বসে আছেন শম্ভুনাথ। বৈঠা হাতে নৌকার পেছনের গলুইয়ে বসা একমাত্র ছেলে। বললেন, সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর শুধু এই নৌকাটাই রয়ে গেছে। নিজে থেকেই বলতে শুরু করলেন, ছেলে এবছরই স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। কিন্তু বন্যায় সব শেষ করে দিয়েছে। আমার ঘরে একটি দানাও নেই। এমনকি মূল ঘরের ভিটের মাটিও সরে গেছে ঢেউয়ে। অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে জাল দিয়ে মাছ ধরার জন্য নৌকাটি কিনেছিলাম। নৌকাটি লম্বা দড়ি দিয়ে ঘাটে বাঁধা ছিল তাই ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিতে পারেনি। নৌকাটিই এখন একমাত্র ভরসা জানিয়ে শম্ভুর খেদোক্তি, ভাসিয়ে নেয়া ঘরটি কীভাবে আবার তৈরি করব, কোথা থেকেইবা মাটি এনে ঘরের মেঝে উঁচু করব- কিছুই জানি না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়